ফিফার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সার্বিয়ার

মিত্রোভিচকে এভাবে আটকে রাখার মতো ঘটনা উস্কে দিয়েছে ক্ষোভ।সুইজারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হার মেনে নিতে পারছেন না সার্বিয়ার ফুটবল প্রধান স্লাভিসা কোকেজা। তাই সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাকেই দোষারোপ করে বসলেন তিনি। ফিফার পক্ষপাতিত্বেই সার্বিয়া রীতিমত ‘নিষ্ঠুর ডাকাতির' শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন কোকেজা।

এছাড়া আরও সমালোচনা করেছেন সার্বিয়ার ফুটবল প্রধান। যত ঝামেলা বেঁধেছে শাকিরি আর জাকার ডাবল ঈগল গোল উদযাপন নিয়ে। যাতে পাখির ওড়ার মতো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুজন। যাকে মনে করা হচ্ছে আলবেনীয় জাতীয় পতাকার প্রতীক ডাবল ঈগলকে।

ডাবল ঈগল উদযাপন নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।রাজনৈতিকভাবে জাকার পরিবারের ভালো অভিজ্ঞতা নেই সার্বিয়ায়। এছাড়া শাকিরির জন্ম কসোভোতে- যা ছিল সার্বিয়ার অন্তর্ভুক্ত। কসোভো স্বাধীন হলেও সার্বিয়া দেশটির স্বাধীনতা মেনে নেয়নি। আবার জাকার মা-বাবা দুজনে আলবেনীয়। জাকার ভাইও খেলেন আলেবেনিয়ার হয়ে।

১৯৯৮-৯৯ সালে সার্বিয়ার আলবেনীয়দের নিধন নিয়েও রয়েছে তিক্ততা। তাই রাজনৈতিক কারণেই শাকিরি আর জাকার পরিবার আশ্রয় নেয় সুইজারল্যান্ডে। এমনকি কসোভোর স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ায় জাকার বাবা রাজনৈতিক বন্দী হয়ে ছিলেন।

এছাড়া প্রতিপক্ষের মিত্রোভিচের ওপর হামলে পড়ার ঘটনা নিয়েও কথা বলেছেন সার্বিয়ার ফুটবল প্রধান। তাই তারা ফিফার কাছে প্রতিবাদ পাঠানোর কথা জানিয়েছে। কোকেজা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন জার্মান রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে। তিনি দাবি করেছেন কিছু সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয়েই নিয়েছেন এই রেফারি। এমনকি মিত্রোভিচের ওপর ধস্তাধস্তির বিষয়ে পেনাল্টি নেওয়ার ক্ষেত্রেও রেফারির ব্যর্থতা ছিল বলে মনে করেন তিনি। তাই প্রতিবাদ জানানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ফিফার কাছে একটা প্রতিবাদ পাঠাবো।’