তামিমের ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় সেশনে দারুণ বোলিং ছিল ক্যারিবীয়দেরজ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৫৪ রানে অলআউট করে প্রথম সেশনে চওড়া হাসি ছিল সাকিব আল হাসানের। দ্বিতীয় সেশনে চওড়া হাসি আর ধরে রাখা যায়নি। স্বাগতিকরাই দাপট দেখিয়েছে বল হাতে। ৮২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে এই সেশনে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯২ রান। 

অ্যান্টিগা টেস্টের ব্যাটিং ব্যর্থতায় জ্যামাইকার শুরুটা সাবধানে করেছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে ছিল প্রতিরোধ। সপ্তম ওভারে দলীয় ২০ রানে এই প্রতিরোধ ভেঙে দেন আগের টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। লেগ বিফোর হয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফেরেন লিটন।

নতুন নামা মুমিনুল হক ভুল করে বসেন আগের মতোই। এই ওভারে একটি বল খেলে গাব্রিয়েলের পঞ্চম বলে লিডিং এজ হয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শূন্য রানে।

দুই উইকেট পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের ইনিংসটাকে প্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এক পর্যায়ে সফলও হন দুজনে। যেখানে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল সঙ্গী। সেখানে সিরিজের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন সাকিব-তামিম। তাদের জুটিতে আসে ৫৯ রান।

জুটি গড়ার বিপরীতে উইকেট বিলিয়ে দেওয়ারও সুযোগ দিয়েছিলেন তামিম। ক্রিজে টিকে যাওয়া তামিম রোস্টন চেসের ২৩তম ওভারে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। ডেভন স্মিথ লুফে নিতে পারেননি সেই বল।

পরের ওভারে ভাগ্য আর সহায় হয়নি। জেসন হোল্ডারের শর্ট লেন্থের পর বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। সাকিব পেছনে সরে কাট করতে গেলে বল সরাসরি আঘাত হানে স্টাম্পে।৫৩ বলে ৩২ রান করে বিদায় নেন সাকিব। 

হোল্ডারের এই ওভারে বিপদ আরও বাড়ে বাংলাদেশের। এক বল বিরতি দিয়ে এলবিডাব্লিউ করেন নতুন নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। ততক্ষণে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৭৯ রান।

দ্বিতীয় সেশন শেষে তামিম ব্যাট করছেন ৪০ রানে। ৪ রানে সঙ্গে আছেন মুশফিক।