জাতীয় দলের সাবেক তারকা গোলকিপার মোহাম্মদ মহসিন। জাতীয় দল ছাড়া ঐতিহ্যবাহী আবাহনী ও মোহামেডানে দুর্দান্ত প্রতাপে খেলেছেন। খেলা শেষে কানাডাপ্রবাসী হলেও বেশ কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এসেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে এমনই অবস্থা যে, কাউকে সেভাবে চিনতে পারেন না! বাসা থেকে হুটহাট উধাও হয়ে যান। ঠিক এই অবস্থায় রোগে জর্জরিত শীর্ণকায় মহসিন এসেছিলেন সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীতে। গতকাল রবিবার তাকে পেয়ে সতীর্থ সবাই যেন নস্টালজিক হয়ে পড়েন।
মহসিনকে সোনালী অতীতের কার্যালয়ে নিয়ে এসেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। উদ্দেশ্য পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে সোনালী অতীতের সদ্য সভাপতি আব্দুল গাফফারের সঙ্গে আলোচনা করতে। সেখানেই সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির, শফিকুল ইসলাম মানিক, আবুল হোসেন, কায়সার হামিদ, দারা, ছাইদ হাসান কানন ও বিপ্লব ভট্টাচার্যসহ অনেকেই ছিলেন। মহসিনকে পেয়ে সবাই যেন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। ঘণ্টা দুয়েক তাকে ঘিরেই জমে ওঠে আড্ডা। তবে মহসিনের স্মৃতিশক্তি বিলোপ হওয়ায় সবাইকে সেভাবে চিনতে পারেননি। মনে করিয়ে দিলেই সাড়া দিয়েছেন। হাসি-ঠাট্টাতেও শামিল হয়েছিলেন।
আপাতত মহসিনের উন্নত চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করছে সোনালী অতীত। সভাপতি আব্দুল গাফফার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘মহসিনের বিষয়টা সবাই জানে। ও আজ (রবিবার) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এসেছিল। আমরা তাকে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহ হাসাপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করছি। এর আগে ভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে অন্য হাসপাতালে সাতদিন চিকিৎসাধীন ছিল। এখন ওষুধ চলছে।’
আরেক সাবেক তারকা সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির নিজের খারাপ লাগার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘মহসিন এসেছিল পরিবারের অন্যদের সঙ্গে। অনেক দিন পর ওকে দেখে ভালো লেগেছে। তবে ও চিনতে পারেনি। মনে করিয়ে দিলে তখন কিছুটা চিনতে পেরেছে। আমরা ওকে ডাক্তার দেখাবো। ওর স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। আসলে এই অবস্থায় ওকে দেখতে ভালো লাগছে না।’
মহসিনদের অন্যতম উত্তরসূরি বিপ্লব ভট্টাচার্য। নিজের অন্যতম আইডলকে দেখে বিপ্লব রোমাঞ্চিত, ‘মহসিন ভাইকে অনেক দিন পর দেখে রোমাঞ্চ অনুভব করেছি। উনাকে দেখে আমি গোলকিপার হতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তবে তার দূরবস্থা দেখে অনেক খারাপ লেগেছে। উনি কাউকে চিন্তে পারেননি। তবে আমার কাছে মনে হয় এখানে নিয়মিত এসে সবার সঙ্গে সময় কাটালে তার উন্নতি হবে। এখানে তার সতীর্থ অনেকেই আছে।’