ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গী সাড়ে ৪ মিলিয়ন খেলোয়াড়!

ইভান রাকিতিচ।

যুগোস্লাভিয়ার বিলুপ্তির পর ক্রোয়েশিয়া প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ১৯৯২ সালে। সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। এবার সেই কীর্তিকেও ছাপিয়ে গেছে মদরিচরা। শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে আবেগকে সঙ্গী করে মাঠে নামতে চায় ক্রোয়েটরা। ইভান রাকিতিচ জানালেন সেই কথা, `খেলাটা শুধু আমাদের ১৩-১৪ জনের নয়। পুরো ক্রোয়েশিয়া আমাদের সঙ্গে আছে। তাই আমাদের সঙ্গে পিচে ৪.৫ মিলিয়ন খেলোয়াড় সঙ্গে থাকবেন!’

ফাইনালে পৌঁছানোর গল্পটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না রাকিতিচ। বাষ্পরূদ্ধ হয়ে যান বলেই এর প্রকাশভঙ্গিটা ছিল এমন, ‘গত একটি মাস যা হয়েছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তাতে কী পরিমাণ একতা ছিল, কী পরিমাণ গর্ব ছিল সেটা বুঝিয়ে বলা যাবে না। এক কথায় এটা হতে পারে অবিশ্বাস্য।’

ফাইনালে ভাগ্যদেবীর সহায়তা চান রাকিতিচ। তার মতে, ‘জানি আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ম্যাচটি আজকে হতে যাচ্ছে। মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়তে চাই। নিজেকে এই বোধটা দিতে চাই যে আমরা সবকিছুই করেছি। তবে আমাদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন ভাগ্যের সহযোগিতা ও কাঙ্ক্ষিত ফল।’

১৯৯৮ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এই ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে। এবার সেই ভুলকে পেছনে ফেলে দিতে চান রাকিতিচ, ‘ইতিহাস ইতিহাস আর অতীত সব সময়ই অতীত। আমাদের পুরনো সেই ম্যাচটিকে পেছনে ফেলতে হবে।’