স্লো ওভার রেট কমাতে ‘শট ক্লক’ পদ্ধতি

রিকি পন্টিংটেস্টে গত ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে স্লো ওভার রেট। একই সময়ে মন্থর গতির ওভার রেট ছিল টি-টোয়েন্টিতেও। এতে বিঘ্ন হচ্ছে খেলার স্বাভাবিক গতি। বিষয়টি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো দেখে ‘শট ক্লক’ পদ্ধতি চালু করার পক্ষে প্রস্তাব করেছে এমসিসি। নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়ার এই পদ্ধতি আরও অনেক খেলাতেই আছে- যেমন-বাস্কেটবল।

ক্রিকেটের আইন পাল্টাতে প্রস্তাব করার ক্ষমতা রাখে এমসিসির ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি। এমন পদ্ধতির কথা তুলে ধরেছেন কমিটির সদস্য রিকি পন্টিং। প্রস্তাবনার ব্যাখ্যায় পন্টিং জানান, ‘শট ক্লককে মনে হতে পারে বেশ চরম ব্যবস্থা। তবে এতে মাত্রা কমে যাবে।’

শট ক্লক কীভাবে কাজ করতে পারে তার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন পন্টিং, ‘যখন কোনও ওভার শেষ হয়ে যাবে তখন নির্ধারিত সময়ে ফিল্ডার ও বোলারদের নির্ধারিত জায়গায় ফিরে আসতে হবে। আর এটা হতে হবে অতিক্রমণীয়।’ অর্থাৎ ওভারের পর নির্ধারিত সময় তুলে ধরা হবে শট ক্লকে। আর সেই সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে বাড়তি কাজ। এসময় পন্টিং অবশ্য বলে দিয়েছেন ওভার শেষ করতে কোনও সময় নির্ধারণ করাটা যৌক্তিক হবে না।

স্লো ওভার রেটে পেনাল্টির ব্যবস্থা থাকলেও সেটা যে কাজে আসছে না তার প্রমাণ সাম্প্রতিক তথ্য। আইসিসির দেওয়া তথ্য পড়েই এমন প্রস্তাবনার কথা আলোচনা করেছে এমসিসির এই কমিটি। তাই আরও বাড়তি শাস্তি ও জরিমানা প্রয়োগের কথাও বলেছেন পন্টিংরা। সেক্ষেত্রে রান পেনাল্টিকে উপযোগী মনে করছেন তারা। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচফি কেটে নেওয়া ও অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞাকেই শাস্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে।