সেরেনাকে হারিয়ে নাওমির ইতিহাস

নাওমিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সেরেনা।গ্র্যান্ড স্লামে খেললেও শিরোপা জেতার সুযোগ হয়নি জাপানের কোনও খেলোয়াড়ের। ইউএস ওপেন জিতে এবার সেই অতৃপ্তি ঘোচালেন জাপানের নাওমি ওসাকা। সেরেনা উইলিয়ামসকে ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।

নিউ ইয়র্কে এদিন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলো সেরেনার বিক্ষুব্ধ আচরণ! মেজাজ নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে বার বার মাশুল দিয়েছেন। পয়েন্ট আর গেম কেটে নেওয়ায় হারের দিকেই এগিয়ে গেছেন ধীরে ধীরে। আর সুযোগে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ২০ বছর বয়সী নাওমি ওসাকা। তাতে পারফরম্যান্সের তুলনায় নাটকীয় পরিস্থিতিটাই জায়গা করে নিয়েছে। 

এদিন প্রতিদ্বন্দ্বীর ‍তুলনায় সেরেনা বেশি ঝুঁকে ছিলেন আম্পায়ারের দিকে। যার শুরুটা হয় এভাবে- আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আম্পায়ার কোড ভায়োলেশনের অভিযোগ আনেন ২৩টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিকের বিরুদ্ধে। আম্পায়ারের অভিযোগ কোচ মোরাতেগলু বক্স থেকে কৌশল দেখাচ্ছিলেন সেরেনাকে। ডাব্লিউটিএ ট্যুরে এমন কৌশল দেখানো স্বীকৃত তবে গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে এমনটি করার নিয়ম নেই। সেরেনা অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। কোচ মোরাতেগলু বলেছেন, ‘আমি কৌশল দেখাচ্ছিলাম তবে সে আমার দিকে তাকায়নি।’

উত্তেজিত হয়ে কথা বলার মুহূর্তে সেরেনা।পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতির ছড়াছড়ি। দ্বিতীয় সেটে ব্যবধান যখন ৩-২ তখন র‌্যাকেট আছাড় মেরে দেওয়ার ঘটনায় তার পয়েন্ট কেটে নেন আম্পায়ার রামোস। পরের গেমে ওসাকা তখন এগিয়ে যান ১৫-০ তে।  সেরেনা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে এসে মৌখিক আক্রমণ করার সুযোগটি আর হাতছাড়া করেননি।

আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে শেষ দিকেও। ম্যাচ বাঁচানোর জায়গায় বরং উত্তেজিত পরিস্থিতিটা টেনে নিয়েছেন সেরেনা। এক পর্যায়ে যখন ওসাকা ৪-৩ গেমে এগিয়ে তখন আম্পায়ার সেরেনার একটি গেম কেটে নেন। এমন ক্ষুব্ধ আচরণই খেলা থেকে দূরে সরে নিয়ে যায় সেরেনাকে। গেম কেটে নেওয়ায় ওসাকা তখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে; এগিয়ে ৫-৩ গেমে। পরিস্থিতি যখন লাগামহীন তখন আনায়াসে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ওসাকা। তবে এমন পরিস্থিতি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি ওসাকা। প্রিয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ম্যাচের পর বললেন, ‘ম্যাচটি এভাবে শেষ হওয়ায় আমি সত্যিই দুঃখিত।’ সেরেনাও তাকে শুভেচ্ছা জানান জয়ের পর। তবে পুরো ম্যাচে সেরেনার ক্ষুব্ধ আচরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বেশ। সেরেনা অবশ্য শেষ দিকে খেলোয়াড়ি মনোভাবটা বজায় রাখেন। সবাইকে শান্ত হতে বলে ওসাকার কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন।