৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

GettyImages-932881744হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা ভোগাচ্ছিলো কাইল জার্ভিসকে। শুরুতে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিলেন পরিচর্যার আশায়। সেই পেসারের আঘাতেই ভেঙেছে ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুনের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছন্দে থাকা মিঠুন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন ৩৭ রানে। নতুন নামা রিয়াদ তারপর মিরাজ সাজঘরে ফিরলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৯.৩ ওভারে ১৩৯ রান।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশের টপ অর্ডার আবারও ব্যর্থ ছিলো। এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি লিটন। ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। একই ওভারে অভিষেক ম্যাচে নামা রাব্বি ফিরেছেন শূন্য রানে। তারপর মুশফিক আর ইমরুল মিলে ধাক্কা সামলাতে গড়েন ৪৯ রানের দারুণ এক ‍জুটি। মুশফিককে ১৫ রানে বিদায় দিয়ে জুটি ভাঙেন মাভুতা।
শুরুতে অবশ্য তাকে ক্যাচ আউট দেননি আম্পায়ার ধর্মসেনা। রিভিউ নিলে তাতে সফলতা মিলে সফরকারীদের। তবে সেই চাপ কাটিয়ে দ্রুত রানের চাকা সচল করেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন। ২৬তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে পর পর দুই ছক্কা মেরে আগ্রাসী হয়ে দাঁড়ান মিঠুন। সেই মিঠুনকেই গ্লাভসবন্দী করেন জার্ভিস। মিঠুন বিদায় নেন ৪০ বলে ৩৭ রান করে। নতুন নেমে মাহমুদউল্লাহও ছিলেন ব্যর্থ। জাইর্ভিসের ওভারের শেষ বলে গ্লাভসবন্দী হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। এক ওভার বিরতি দিয়ে সেই জার্ভিসের আঘাতেই ঘটে সর্বনাশ। গ্লাভসবন্দী হয়ে ফেরেন নতুন নামা মেহেদী হাসান মিরাজ (১)। অপর প্রান্তে ওপেনার ইমরুল ব্যাট করছেন ৭২ রানে।

তার আগে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও ইমরুল কায়েস মিলে শুরুটা দেখে শুনে করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ওভারে অল্পের জন্যে রান আউট থেকে রক্ষা পেয়েছেন লিটন। পয়েন্টে বল ঠেলে দিয়ে কল করেছিলেন ইমরুলকে। শন উইলিয়ামস দ্রুত বলের কাছে পৌঁছালে লিটন পুনরায় স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছুটে চলেন।  তার পৌঁছানোর আগে বল থ্রো করলেও স্টাম্প মিস করেন উইলিয়ামস। 

তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আবারও উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার ক্ষণ এনে দিয়েছিলেন লিটন। ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। শর্ট কভারে রাজা ক্যাচ তুলে নিলেও ক্যাচটি বৈধ ছিলো না। লুফে নেওয়ার আগে বল স্পর্শ করেছিলো ঘাস। শুরুতে সফট সিগন্যালে আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। পরে নট আউট সিদ্ধান্ত দেন থার্ড আম্পায়ার।

কিছুক্ষণ বিরতি দিলেও ষষ্ঠ ওভারে আবারও দেখা মেলে লিটনের চিরচেনা রূপ! চাতারার বল উঠিয়ে দিয়েছিলেন। মিড অফে এবার আর কোনও ভুল করেননি ঝুয়াও। ৪ রানে বিদায় নেন লিটন। তার পরে নামা ফজলে রাব্বির অভিষেকটা হলো আরও বিবর্ণ।একই ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন রাব্বি।