আইসিসির সমালোচনায় আল জাজিরা

cricket_2018ফিক্সিং নিয়ে দ্বিতীয় প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশের পর অবস্থাটা দাঁড়িয়েছিলো আরও বিতর্কিত। সেই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে খুব বেশি সরব দেখা যাচ্ছে না আইসিসিকে। বরং তাদের নিরব প্রতিক্রিয়া ভালো চোখে নেয়নি কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ক্ষোভের সঙ্গেই তারা জানালো সংশ্লিষ্ট ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।

দ্বিতীয় প্রামাণ্য চিত্রের পর জানা গেলো ১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ঘটেছে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা। ২০১১-১২ মৌসুমে হওয়া ফিক্সিংগুলোর বেশির ভাগই হয়েছে টেস্টে। আর এসবের মূল চরিত্রে ছিলেন দাউদ ইব্রাহিমের আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতের সদস্য আনিল মুনাওয়ার।

বিস্তারিত এমন তথ্য দেওয়ার পর আইসিসি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইসিবি অবশ্য আরও বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিলো আল জাজিরার কাছে। তাদের দাবি আল জাজিরা এর চেয়ে বেশি তথ্য দিতে চায়নি। উল্টো দাবি করেছে প্রামাণ্য চিত্রে বিশ্বাসযোগ্য কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। যাতে করে স্পট ফিক্সিং প্রমাণ করা যায়।

এদিকে আল জাজিরার অভিযোগুলো খণ্ডাতে না পারায় উল্টো আইসিসির সমালোচনা করেছে আল জাজিরা, ‘আমরা যেই তথ্য প্রমাণ সাজিয়েছি তা অনেকের কাছে প্রশংসিত হলেও আইসিসি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ড, মিডিয়াতে তাদের সমর্থকগোষ্ঠী এই প্রামাণ্য চিত্র দেখার পর বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, গ্রহণ না করে বরং ম্যাসেঞ্জারেও আক্রমণ করেছে।’

আল জাজিরা ৫ সপ্তাহ আগে স্পট ফিক্সিং সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলো আইসিসির কাছে। তার জবাব না পেয়ে এবার নির্দিষ্ট করে কিছু জবাব চাইলো আল জাজিরা। উল্লেখযোগ্য প্রশ্নগুলো হলো-

১. আইসিসি কখন মুনাওয়ার ও তার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারলো? এরপর কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো?

২. প্রথম প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশের পর মুনাওয়ারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিলো?

৩. মুনাওয়ারের নাম কি আইসিসির ম্যাচ ফিক্সারদের তালিকায় আছে?

৪. গত ৫ বছরে আইসিসি কতজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অন্যান্যের বিপক্ষে ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে?

৫. তারা কারা? তাদের আইসিসি কী শাস্তি দিয়েছে?