মুশফিকের ইতিহাসের দিনে রানের পাহাড় বাংলাদেশের



281844সেই ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর গত বছর ওয়েলিংটনে করেন ১৫৯ রান। এর মাঝে তার হয়ে সেভাবে ব্যাট আর কথা বলেনি। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিক। সিকান্দার রাজার ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে পূরণ করেছেন দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। তার ডাবল সেঞ্চুরিতে ৫২২ রানে  প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
উইকেটকিপার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটেও ইতিহাস গড়ে ফেললেন এর মধ্য দিয়ে। প্রথম উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন মুশফিক। একই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবেও দুটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক তিনি। ইতিহাস গড়ার দিনে আরও একটি যুক্ত হয়েছে ইনিংস ঘোষণার আগে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটা এখন মুশফিকের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭ রান ছিলো সাকিব আল হাসানের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকের ২১৯ রান এখন সর্বোচ্চ। তার অপরাজিত এই ইনিংসের পরেই পাহাড় গড়ে ৭ উইকেটে ৫২২ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। অপর প্রান্তে মেহেদী হাসান মিরাজও ছিলেন তার এই ইতিহাসের সঙ্গী। অপরাজিত ছিলেন ৬৮ রানে। অষ্টম উইকেটে এই জুটিতে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ ১৪৪ রান। দিনের আলোচিত জুটিও এটি।

বলতে গেলে প্রথম সেশনে ধীর-স্থির থাকলেও দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের এই সেশনে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড়ে চড়ে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশন পর তৃতীয় সেশনেও ছিলো এই আগ্রাসন। নিরাপদ দূরত্বে থেকেই এই সেশনের শুরুতে ইনিংস ঘোষণা করেন মাহমুদউল্লাহ।
প্রায় দুটি দিন দাপট দেখানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন নির্বিঘ্নেই শুরু করেছিলো। প্রথম সেশনে প্রতিরোধ দিয়ে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মধ্যাহ্ন ভোজনে যাওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিলো ৫ উইকেটে ৩৬৫ রান।

প্রথম সেশনে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ দিয়ে খেললেও দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে মনোযোগ হারিয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আবারও খোঁচা মারতে গিয়ে বলি হয়ে ফেরেন সাজঘরে। বিদায় নেন ৩৬ রান করে। এরপর দায়িত্ব জ্ঞানহীন শট খেলে বিদায় নেন আরিফুল হকও।
মুশফিকুর রহিম নির্ভরতার প্রতীক হয়েই ব্যাট করতে থাকেন। দ্বিতীয় দিন অস্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করেছে পিচ। এমন বৈপরীত্যের মাঝেও প্রথম সেশনে দুই ব্যাটসম্যানের ধৈর্য ছিলো। কিন্তু বিরতির পর পেসার কাইল জার্ভিসের বাইরের লেন্থের বল অযথা খোঁচা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে দেন উইকেটকিপারকে। ১১০ বল খেলা মাহমুদউল্লাহর ইনিংসের ইতি ঘটে ৩৬ রানে। তারপর নতুন নামা আরিফুল অযথা শট খেলে জার্ভিসের বলে পয়েন্টে ধরা পড়েছেন ব্রায়ান চারির হাতে। ১৮ বল খেলা আরিফুল হকের সংগ্রহ ছিলো ৪ রান। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ নামলে দ্রুত গতিতে স্কোর বোর্ডে রান জমা করতে থাকেন মুশফিকুর রহিম।