ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন আরিফুল

টেলরের ব্যাটে আসে মূল প্রতিরোধ।প্রথম সেশনের ঘণ্টা খানেক প্রতিরোধ দিলেও ধীরে ধীরে সেই প্রতিরোধের দেওয়ালে ফাটল ধরিয়েছিলেন স্পিনার তাইজুল ও মিরাজ। দ্বিতীয় সেশন পর আবারও প্রতিরোধের দেয়ালটা লম্বা করে জিম্বাবুয়ে। অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলর ও পিটার মুরের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ২৮৮ রান ছাড়িয়েছে সফরকারীরা। যদিও পিটার মুরের বিদায়ে সফরকারীদের পতন ঘটেছে ৬টি উইকেট। তারা এখনও পিছিয়ে ২৩৪ রানে।  

এক পর্যায়ে জিম্বাবুয়েকে শঙ্কা ঘিরে ধরেছিলো দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার। প্রথম সেশনে দুই উইকেট পরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত আরও দুই উইকেট পড়লে তেমনই বিপদের মুখে ছিলো সফরকারীরা। এমন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে প্রতিরোধ গড়েন ব্রেন্ডন টেলর ও পিটার মুর। তৃতীয় সেশনে এই জুটিতে ভর করেই দুইশো ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে।  

বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৪টি টেস্ট সেঞ্চুরির তিনটি করা টেলর দ্বিতীয় টেস্টেও তুলে নিয়েছেন আরেকটি। ব্রেন্ডন টেলর ব্যাট করছেন ১০১ রানে। পিটার মুরও দ্রুত গতিতে ব্যাট চালিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে করেছেন ৮৩ রান। তবে একেবারে যে নির্বিঘ্নে ছিলো এই জুটি এমনটা নয়। ৮৮তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ উঠেছিলো পিটার মুরের। কাভারে দাঁড়ানো নাজমুল ইসলাম অপু লুফে নিতে পারেননি সেই ক্যাচ। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে ক্যাচের সুযোগ দিয়েছিলেন টেলরও। তাইজুলের ঘূর্ণিতে আসা সেই ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি মুশফিক।

তবে ৯২তম ওভারে আরিফুলের বলে শেষ রক্ষা হয়নি পিটার মুরের। ৮৩ রানে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটিতেই এসেছে ‍গুরুত্বপূর্ণ ১৩৯ রান। পিটার মুর অবশ্য রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি। বহাল থাকে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।  

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম ঘণ্টায় প্রতিরোধ ছিলো জিম্বাবুয়ের। নাইটওয়াচম্যান তিরিপানো ও ওপেনার চারি পার করে দেন প্রায় ঘণ্টা খানেক। তাইজুলের ঘূর্ণিতে এই জুটি ভাঙনের পর মধ্যাহ্নভোজনের আগে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানো ব্রায়ান চারিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।

মেহেদী হাসান মিরাজের একই ওভারে বিদায় নেওয়ার আগের বলে ব্রায়ান চারির ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। পরের বলে মিরাজের ঘূর্ণিতে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ক্রিজে আতঙ্ক ছড়ানো ওপেনার ব্রায়ান চারি। শুরুতে শর্ট লেগ ফিল্ডার ক্যাচ নিয়ে আবেদন করলে অনফিল্ড আম্পায়ার সাড়া দেননি। ‘অস্পষ্ট’ এই ক্যাচের জন্যে মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল হাল্কা গ্লাভসে লেগে জমা পড়ে মুমিনুলের হাতে। তাতে ৫৩ রানে ইতি ঘটে ব্রায়ান চারির ইনিংসের। তার ১২৮ বলের ইনিংসে ছিলো ৬টি চার ও দুটি ছয়।

তার আগে ফিরেছেন তিরিপানো। দ্বিতীয় দিনের বাকি সময় সামলাতে নাইটওয়াচম্যান ডোনাল্ড তিরিপানোকে নামিয়েছিলো জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় দিনের শুরুতে এই নাইটওয়াচম্যানকে নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক প্রতিরোধ দেন ওপেনার ব্রায়ান চারি। তাতে হতাশা বেড়ে যাচ্ছিলো স্বাগতিক শিবিরে। ২৯তম ওভারে সেই তিরিপানোকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। বোলার তিরিপানো তাইজুলের ঘূর্ণিবল বুঝে উঠতে পারেননি। খুব বেশি এগিয়ে আসায় বল ব্যাটের বাইরের কোনায় লেগে চলে যায় স্লিপে থাকা মিরাজের হাতে।  

এরপর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ফিরে যান শন উইলিয়ামস। প্রথম সেশনে ব্রায়ান চারি ফিরলে ব্রেন্ডন টেলর ও শন উইলিয়ামস মিলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। ৩৩ রান করে ফেলা এই জুটি স্থায়ী হতে দেননি তাইজুল। তার সরাসরি আঘাত হানা বলে বোল্ড হয়ে ১১ রানে ফেরেন শন উইলিয়ামস। তারপর নতুন নামা রাজাও তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রানের খাতা খোলবার আগে।