আগের ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের। তবে সেভাবে উৎসব করা হয়নি। ট্রফি হাতে নিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার উদযাপন করতে চেয়েছিল তারা। আজ ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো। পুলিশ এফসির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে লিগে পঞ্চম ট্রফি উঁচিয়ে উৎসবে মেতেছে রবিনিয়ো-তপু-মোরসালিনরা।
গ্যালারিতে ছিল লাল জার্সির চেনা স্রোত। সমর্থকদের সামনে এগিয়েও কিংস জিততে পারেনি। এনিয়ে হয়তো কিছুটা আক্ষেপ থাকতে পারে। তারপরও ট্রফি নিয়ে আনন্দ উদযাপন করেছে এটাই বা কম কিসে!
শুরু থেকে রক্ষণ জমাট রেখে খেলতে থাকে পুলিশ। তাদের প্রতিরোধের দেয়ালে চিড় ধরিয়ে কিংস এগিয়ে যায়। তিন ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে শেখ মোরসালিনের দারুণ থ্রু পাস ধরে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান দোরিয়েলতন, দারুণ হেডে জালে বল পাঠান নাইজেরিয়ান এমফোন উদোহ।
দ্বিতীয়ার্ধে পুলিশ চেপে ধরে কিংসকে। ৫০ মিনিটে বক্সের ঠিক ওপর থেকে আচমকা শটে লক্ষ্যভেদ করেন মাহাদি ইউসুফ খান। সমতায় স্বস্তি ফেরে পুলিশে।
৬৯ মিনিটে কিংসকে চমকে দিয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ। এমএস বাবলুর থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন এদুয়ার্দ মোরিও। কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ভেনেজুয়েলার এই ফরোয়ার্ড। পুলিশের ডাগআউটে শুরু হয় উল্লাস।
অবশ্য তাদের আনন্দের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র দুই মিনিট। রবিনিয়োর পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে নিখুঁত শটে সমতা ফেরান দোরিয়েলতন।
বাকি সময়ে কেউই গোল করতে পারেনি। টানা ছয় জয়ের পর ফের ড্র করলো অস্কার ব্রুজনের দল। শেষের বাঁশি বাজতেই গ্যালারিতে শুরু হয় সমর্থকদের উৎসব। রঙিন আতশবাজি উড়িয়ে, নেচে-গেয়ে উদযাপন করলো পঞ্চম লিগ শিরোপা। দিনের অন্য ম্যাচে রাজশাহীতে শেখ জামাল ও ফর্টিস গোলশূন্য ড্র করেছে।
খেলা শেষে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের হাত থেকে ট্রফি নিয়েছেন কোচ ও খেলোয়াড়রা।