বয়সভিত্তিক ফুটবলে বয়স চুরি, কঠোর হচ্ছে সাফ

saff-logoবয়সভিত্তিক ফুটবলে প্রায়ই দেখা যায় বয়স চুরির ঘটনা। ঘরোয়া কিংবা সাফের মতো আন্তর্জাতিক আসরে দেখা মেলে এমন অভিযোগের।

এবার নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলও এর বাইরে ছিল না। নানান অভিযোগের পর এবার কঠোর হস্তে দমনে নেমেছে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সাফ। এএফসিকে অনুসরণ করেই কঠোর হচ্ছে তারা। প্রতিটি খেলোয়াড়ের এমআরআই পরীক্ষা করানোর বাধ্যবাধকতা থাকার নিয়ম চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগামী ২০১৯ সালের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলের আসর দিয়েই তেমনটা শুরু হতে পারে।

তবে এই নিয়ম চালু হতে গেলে অনুমতি লাগবে এএফসির। সাফ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এএফসির সঙ্গে কথা বলেছে। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালও এই বিষয়ে কঠোরতার কথা জানালেন বাংলা ট্রিবিউনকে, ‘এমআরআই করানোর চিন্তা-ভাবনা আছে। এএফসির সঙ্গে আলোচনা করছি। ওরা অনুমতি দিয়ে দিলে আমরা তা কার্যকর করবো। ২০১৯ সালের আসর থেকে শুরু করবো।’

অনুমতি মিললেই খেলোয়াড়দের বয়সকে আতশী কাঁচের নিচে ফেলবে সাফ। এনিয়ে আনোয়ারুল হক হেলাল জানান, ‘যদি তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে মনে হয় বয়স বেশি তাহলে এমআরআই করার সুযোগ থাকবে। এরফলে সেই খেলোয়াড়ের বয়সও পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

কাঠমান্ডুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে হেলালের। সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছিলাম আমরা। বিভিন্ন জায়গা থেকেই অভিযোগ এসেছিল। অনেক দেশ নাকি অধিক বয়সী খেলিয়েছে। যেহেতু আমার নিয়ন্ত্রণে সবকিছু নেই। পাসপোর্টই ভরসা। সবকিছু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমআরআই করা উচিত।’

বয়সভিত্তিক আসরগুলো সাধারণত ফুটবলার তৈরির জন্য। কিন্তু অনেক দেশেই আছে অধিক বয়সী খেলোয়াড় খেলিয়ে সাফল্য পেতে চায়। আর এই জায়গাতেই আপত্তি সাফ সাধারণ সম্পাদকের, ‘এই সুযোগ অনেক দেশই নিতে চায়। তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। কিন্তু এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো উন্নতি। কিন্তু উন্নতির চেয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ অনেকের কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। আমরা এটা চাই না। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের বেড়ে ওঠা ঠিকঠাক মতো হলে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে খেলতে সুবিধা হবে।’