অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে ওসাকার ইতিহাস

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী নাওমি ওসাকা। ছবি- রয়টার্স।গত ইউএস ওপেন ফাইনালটা ছিলো বিতর্কে ভরা। সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে নাওমি ওসাকা জিতলেও সেই জয়ে তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ছিলো অনেক। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনটা জিতে অবশ্য নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। চেক পেত্রো কেভিতোভাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন ওসাকা।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই উপহার দিয়েছেন ওসাকা ও কেভিতোভা। শুরুর দিকে পেন্ডুলামের মতো ঝুলছিলো ম্যাচের ভাগ্য। এক সেটে ওসাকা জেতেন তো পরে কেভিতোভা। নাটকীয় সেই ফাইনালেই শেষ সেট জিতে নিজের করে নেন জাপানের ২১ বছর বয়সী। ব্যাক-টু ব্যাক গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নাওমি র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ স্থানটাও দখল করে নিয়েছেন। এমন কীর্তি গড়ে আরেকটি ইতিহাসও গড়া হয়ে গেছে তার। প্রথম এশিয়ান হিসেবে র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর আসনে বসলেন তিনি। 

মেলবোর্নে প্রথম সেটে ওসাকার জয় ছিলো ৭-৬ (৭-২) গেমে। পরের সেটে আবার তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় তাকে। এবার ২৮ বছর বয়সী কেভিতোভা জেতেন ৫-৭ গেমে। এই সেটে তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট খুঁইয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিলো ওসাকার। যার আগ্রাসী রূপটা দেখা মেলে শেষ সেটে। কেভিতোভার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নেন ৬-৪ গেমে।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী ওসাকার সঙ্গে রানার আপ কেভিতোভা। ছবি- রয়টার্স।সেরেনাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলা ওসাকার প্রতিপক্ষ কেভিতোভাও শিরোপার লক্ষ্যে কোর্টে নেমেছিলেন এবার। কারণ ২০১৬ সালে ছুরির আঘাতে প্রায় মরতে বসেছিলেন। পুনরায় কোর্টে ফিরে দুইবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন লক্ষ্য পূরণে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন ফাইনালের আগে। অষ্টম বাছাই কেভিতোভাকে হারিয়ে মর্মান্তিক সেই ঘটনার কথা সামনে আনলেন ওসাকা, ‘দুর্বিষহ এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তোমাকে। তাই গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে তোমার মতো একজনের সঙ্গে খেলতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি।’

হালেপকে সরিয়ে র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর আসনটায় বসতে যাওয়া ওসাকা কম বয়সে এমনটি করতে যাচ্ছেন ২০১০ সালের পর। তখন ২০ বছর বয়সে এক নম্বর আসনটা নিজের করে নিয়েছিলেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি।