ক্রাইস্টচার্চের এই মসজিদে আমিও নামাজ পড়েছি: রুবেল

রুবেল হোসেন।নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে বন্দুকধারীর হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। এমন ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। সেই সঙ্গে স্বস্তি প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড সফররত তামিম-মুশফিকরা নিরাপদে থাকায়।

এমন ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। অতীতে ক্রাইস্টচার্চের এই মসজিদেই নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতা আছে অনেক ক্রিকেটারের। নিজের ফেসবুকে সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রুবেল, ‘আল্লাহ সব কিছুর মালিক। এই মসজিদে আমিও নামাজ পড়ে এসেছি। এটা একটা পরিকল্পিত হামলা। মহান আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আমাদের ক্রিকেটারদের রক্ষা করেছেন এত বড় একটা দুর্ঘটনা থেকে... যে সমস্ত মুসলমান ভাইয়েরা মারা গেছেন আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।’

ফেসবুকে দেওয়া রুবেলের স্ট্যাটাস।পরে তিনি আহত এক ব্যক্তির ছবি দিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন এভাবে, ‘আজ ইসলাম ধর্মের প্রতি মানুষের এত ক্ষোভ কেন? কেন ইসলামকে শেষ করতে চাচ্ছে ?’

উল্লেখ্য, ক্রাইস্টচার্চে হামলার স্থান থেকে ৫০ গজ দূরে ছিলো তামিম-মুশফিকদের বাস। তৃতীয় টেস্টের ভেন্যু হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে আল নূর মসজিদে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অনুশীলন শেষে ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন দলের কয়েকজন। সেখানে তারা একটু আগে মসজিদে ঢুকলেই ঘটে যেতে পারতো স্মরণকালের নৃশংসতম ঘটনা। সংবাদ সম্মেলনের জন্য মসজিদে যেতে দেরি হওয়াতেই মূলত বেঁচে গেছেন মুশফিক-তামিমরা। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় এক নারী বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সতর্ক করেন গোলাগুলির কথা জানিয়ে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। ওখান থেকে বাংলাদেশ দলকে বিশেষ নিরাপত্তায় নভোটেল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।