এমন ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। অতীতে ক্রাইস্টচার্চের এই মসজিদেই নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতা আছে অনেক ক্রিকেটারের। নিজের ফেসবুকে সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রুবেল, ‘আল্লাহ সব কিছুর মালিক। এই মসজিদে আমিও নামাজ পড়ে এসেছি। এটা একটা পরিকল্পিত হামলা। মহান আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আমাদের ক্রিকেটারদের রক্ষা করেছেন এত বড় একটা দুর্ঘটনা থেকে... যে সমস্ত মুসলমান ভাইয়েরা মারা গেছেন আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।’
উল্লেখ্য, ক্রাইস্টচার্চে হামলার স্থান থেকে ৫০ গজ দূরে ছিলো তামিম-মুশফিকদের বাস। তৃতীয় টেস্টের ভেন্যু হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে আল নূর মসজিদে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অনুশীলন শেষে ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন দলের কয়েকজন। সেখানে তারা একটু আগে মসজিদে ঢুকলেই ঘটে যেতে পারতো স্মরণকালের নৃশংসতম ঘটনা। সংবাদ সম্মেলনের জন্য মসজিদে যেতে দেরি হওয়াতেই মূলত বেঁচে গেছেন মুশফিক-তামিমরা। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় এক নারী বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সতর্ক করেন গোলাগুলির কথা জানিয়ে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। ওখান থেকে বাংলাদেশ দলকে বিশেষ নিরাপত্তায় নভোটেল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।