ইউরো বাছাইয়ে জয়ে শুরু স্পেন-ইতালির

স্পেনের উল্লাসের একটি মুহূর্ত।ইউরো বাছাইয়ে জয়ে শুরু করেছে স্পেন। ঘরের মাঠে তারা নরওয়েকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। যার একটি পেনাল্টি থেকে করেছেন স্প্যানিশ অধিনায়ক সের্হিয়ো রামোস।

ভ্যালেন্সিয়ার মাস্তেলা স্টেডিয়ামে দারুণ শুরু ছিলো স্পেনের। ১৬ মিনিটে জর্ডি আলবার ক্রসে ভলি করে লিড এনে দিয়েছিলেন রদ্রিগো মোরেনো। এরপরেও দাপুটে ভঙ্গিতে খেলা বজায় ছিলো দুই অর্ধে।

প্রথমার্ধে পাল্টা আক্রমণ হানতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে স্পেনকে ভড়কে দেয় নরওয়ে একটি গোল শোধ দিয়ে। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জোশুয়া কিংয়ের গোলে সমতা ফেরায় তারা। ইনিগো মার্তিনেসের ফাউলে পেনাল্টি পায় নরওয়ে।

অবশ্য তারা এই স্পট কিকে সমতা ফেরালেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিলো স্পেনের বেলাতেও। ৭১ মিনিটে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। নরওয়ে গোলকিপার রুনে জার্স্টেইন আলভারো মোরাতাকে ফেলে দিলে স্পট কিকের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। তারপরেই দর্শনীয়ভাবে চিপ করে বল গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে জালে জড়িয়ে দেন স্পেন অধিনায়ক রামোস।

পানেনকা স্টাইলে গোল করার মুন্সিয়ানা ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন রামোস। দ্বিতীয়ার্ধে স্প্যানিশ অধিনায়কের গোলটি এসেছে এই কৌশলেই। ঝাঁপ দিতে উদ্যত থাকা গোলরক্ষককে বোকা বানানোর কৌশলে এই মৌসুমেই তিনি এমন গোল করেছেন ৫বার। চেক কিংবদন্তি পানেনকার চিপ করে এই গোল করার কৌশলের পর থেকে এমন নামকরণ। এখন যার সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করছেন রামোস।

মইস কিনের প্রথম গোল।অপর দিকে রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারার হতাশা ইউরো দিয়ে মেটাতে বেশ সচেষ্ট ইতালি। বাছাই পর্বের খেলায় উদ্বোধনী ম্যাচে ঘরের মাঠে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে ফিনল্যান্ডকে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর দারুণ শুরু করলো আজ্জুরিরা। যার দুটি গোল এসেছে ‍দুই তরুণ তারকার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল থেকে। মিডফিল্ডার নিকোলো বারেল্লা ৭ মিনিটে এগিয়ে নেন শুরুতে। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৪ মিনিটে ফরোয়ার্ড মইস কিন করেন দ্বিতীয় গোল।