রাসেল-পোলার্ডদের সামনে আশার আলো

কিয়েরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেল

কিয়েরন পোলার্ড-আন্দ্রে রাসেলসহ অনেক ক্যারিবীয় তারকাই জাতীয় দল বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক লিগ। তাদের মতো বোর্ডের পুরনো নির্বাচন নীতির কারণে জাতীয় দলে থেকে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বিশ্বকাপ আসন্ন হওয়ায় তার আগে বড় ধরনের পরিবর্তনের পথে হেঁটেছে ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ড বোর্ড। নতুন প্রেসিডেন্ট রিকি স্কেরিট দায়িত্ব পেয়ে বাদ দিয়েছেন বিতর্কিত কোচ পাইবাস ও নির্বাচকদের।

একই সঙ্গে বোর্ড প্রধান স্কেরিট শুনিয়েছেন ইতিবাচক সংবাদ। তাতে আগের বোর্ডের সময় ভিকটিম হওয়া কিয়েরন পোলার্ড-আন্দ্রে রাসেলরা দেখছেন আশার আলো। আগের বোর্ডের সময় নির্বাচন নীতিতে ছিলো বেশ কঠোরতা। জাতীয় দলে জায়গা পেতে ঘরোয়া লিগে খেলতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতার নিয়ম রাখা হয়েছিলো।

এছাড়া রিচার্ড পাইবাসের কারণে ক্যারিবীয় অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটারই চলে যান বাতিলের খাতায়। যারা বাধ্য হয়ে জাতীয় দল ছেড়ে বেছে নেন আন্তর্জাতিক লিগ। সেই ব্রাত্যদের মধ্য থেকে কিয়েরন পোলার্ড আইপিএল থেকে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে কয়েক দিন আগে আশাবাদের কথা শুনিয়েছিলেন। পোলার্ডকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো নিজেকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে দেখেন কিনা, এর জবাবে তার উত্তর ছিলো, ‘এখন নির্বাচনের জন্য লোক আছে যাদের কাজ নির্বাচন করা। দেখা যাক পরিস্থিতি কী হয়।’

সাম্প্রতিক ফর্মই অবশ্য এমন ভাবার কারণ। গত বুধবার মুম্বাইয়ের হয়ে ১৯৮ রানের বিশাল স্কোর তাড়ায় পোলার্ড একাই ম্যাচ জেতান ৩১ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে। অপর দিকে তারই মতো দলের বাইরে থাকা আন্দ্রে রাসেলও আইপিএলে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়ে যাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। সব শেষ ম্যাচের স্কোর ২১ বলে ৪৫, আগের ম্যাচে তো অপরাজিত ৫০।

তাদের এমন ফর্মের সঙ্গে সঙ্গে বোর্ড নমনীয় হওয়াতেই দলে ফিরতে আশাবাদের কথা জানিয়েছিলেন পোলার্ড। তার অনুমান যে সত্যি তা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন বোর্ড প্রধান স্কেরিট, ‘আমাদের মনে হয়েছে নির্বাচন নীতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন। যাতে করে সেই নীতি আরও উন্মুক্ত, অংশগ্রহণমূলক ও প্লেয়ার কেন্দ্রীক হয়ে দাঁড়ায়।’ পুরনো নীতি যে বাতিল হয়েছে একই সঙ্গে সেই কথাও নিশ্চিত করেছেন স্কেরিট, ‘আমি জানাতে পেরে বরং স্বস্তিবোধ করছি যে, পুরনো নীতিটা বাতিল করেছি। যেটা নীরবভাবে ও বেশ কার্যকরভাবে কিছু প্লেয়ারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের আওতার বাইরে ফেলে দিয়েছে।’

স্কেরিট সাফ জানিয়েই দিয়েছেন, শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে এমন কেউ নয়। বরং যারা নিজেদের জাতীয় দলের জন্য বাধিত মনে করেন তারাও নির্বাচনের যোগ্য হবেন।