ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের মতে, বাংলাদেশের ব্যাটারদের আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দুই দিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করা দুই ব্যাটারের একজন তিনি। কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে ৭৭ রানে হার মানে বাংলাদেশ।
তানজিদের কথা- বুধবারের ম্যাচে ২৪৫ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে পারতো বাংলাদেশ। তিনি ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছিল তারা। শান্তর অপ্রয়োজনীয় ডাবলসে রান আউটে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। তারপর তানজিদের উইকেট পড়ে গেলে বাংলাদেশের বিপর্যয়ের শুরু। ২৬ বলে মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারায় তারা।
শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন তানজিদ এনিয়ে বলেন, ‘গত ম্যাচের ব্যাপারে আমাদের একটা লম্বা আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোচেরা আমাদের বলেছেন যে, এরকম উইকেটে যারা থিতু হবে, তাদের ম্যাচ শেষ করতে হবে। কারণ উইকেটে গিয়েই নতুন ব্যাটারদের জন্য সেখানে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। কারণ ওদের দলে ভালো মানের স্পিনার আছে। সুতরাং যারা থিতু হবে তাদের যত লম্বা সময় সম্ভব ব্যাট করতে হবে।’
কলম্বোর উইকেটে ম্যাচ জিততে থিতু হওয়া ব্যাটারদের ম্যাচ শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন তানজিদ। তিনি বলেন, ‘দেখুন এখানে উইকেট যেরকম আচরণ করছে, তাতে করে এখানে সবচেয়ে বেশি দরকার হচ্ছে যারা উইকেটে থিতু হবে তাদের আসলে অনেক লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। আমি আর শান্ত ভাই যেভাবে থিতু হয়েছিলাম ওখানে যদি আমরা আরও ১০-১৫ ওভার থাকতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা অনেক ভালোভাবে বেরিয়ে আসতো এবং পরবর্তী ব্যাটারদের জন্য সহজ হয়ে যেতো।’
তানজিদের বার্তা, ‘পরের ম্যাচের জন্য আমার বার্তা থাকবে, যারা উইকেটে নতুন, প্রথমে তাদের জন্য কঠিন লাগবে। কিন্তু থিতু হওয়া ব্যাটারদের লম্বা সময় ব্যাটিং করতে হবে এবং ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নিতে হবে।’
আগের ম্যাচে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্পিনেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। তাকে সামলানোর উপায় খুঁজে পাওয়ার কথা বললেন তানজিদ, ‘বাঁহাতি ব্যাটাররা যেন যত বেশি সম্ভব স্ট্রাইকে থাকে, কারণ ডানহাতির তুলনায় বাঁহাতির বিরুদ্ধে সে (হাসারাঙ্গা) কম কার্যকরী। এমন কিছু তথ্য আমাদের দেওয়া হয়েছে, যা পরের ম্যাচে আমাদের উপকারে আসবে।’
দুই বাঁহাতি ব্যাটার তানজিদ ও শান্ত বাংলাদেশকে বেশ স্বাচ্ছন্দে রেখেছিলেন। এই জুটি ১২টি বাউন্ডারি মারে। তাতে করে চারিথ আসালাঙ্কা বল তুলে দেন হাসারাঙ্গাকে। জানিথ লিয়ানাগের দুর্দান্ত ক্যাচে তানজিদ আউট হন ৬১ বলে ৬২ রান করে। নিজের এই ইনিংসের পর আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না তিনি।
বাংলাদেশি ওপেনার বললেন, ‘আমার মনে হয় না আমি ভালো খেলেছি। আমি দলের প্রয়োজন মেটাতে পারিনি। যদি তা পারতাম, তাহলে বলতাম আমি ভালো খেলেছি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ আছে। এটা তিন ম্যাচের সিরিজ, একটি শেষ। পরেরটি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা লড়াইয়ে থাকবো।’
ওয়ানডেতে আট মাসের জয়খরায় ভুগছে বাংলাদেশ। এই সময়ে তারা টানা সাত ম্যাচ হেরেছে। সেই খরা কি ঘুচাতে পারবে বাংলাদেশ?