ক্রিকেটকে বিদায় বললেন যুবরাজ

অবসরের ঘোষণা দিলেন যুবরাজ সিং।ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতাতে ব্যাটে-বলে মুখ্য ভূমিকা ছিলো যুবরাজ সিংয়ের।  ক্যান্সারে রোগভোগের পর সুস্থ হয়ে ফিরলেও সেই বিধ্বংসী রূপটা আর ধরে রাখতে পারেননি। ২০১৭ সালের জুনে ভারতের হয়ে সবশেষ ওয়ানডে খেলা বামহাতি এই ব্যাটসম্যান অবশেষে বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। একই সঙ্গে বিদায় বলেছেন আইপিএলকেও।

স্ত্রী, মাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কাছের একটি হোটেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান যুবরাজ। যেখানে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেছিল ভারত। যুবরাজ বলেন, ‘আমি এখন ক্রিকেটকে ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্রিকেটই আমাকে সব কিছু দিয়েছে। যার ফলে এখানে দাঁড়িয়ে আমি।’

যুবরাজের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে অনন্য ভূমিকা। দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো পুরো টুর্নামেন্টে। ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সেই আসরে ব্যাট হাতে ৪টি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। বল হাতেও ছিলেন ভীষণ কার্যকরী। নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ব্যাট-বলে অনন্য ভূমিকার জন্যে সেবার টুর্নামেন্ট সেরাও হন যুবরাজ।

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের নাটকীয় মোড়টা নেয় একই বছরে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘরোগভোগের পর অবশেষে ফেরেন ২০১২ সালে। ফিরলেও আগের সেই ধারটা ধরে রাখতে পারেননি। সেই বছরে ক্যারিয়ারের শেষ ৪০তম টেস্টটা খেলে ফেলেন।

বিশ্বকাপ জেতানো এই তারকা ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপা জয়েও অন্যতম অবদান রেখেছিলেন। ২০০৭ সালের সেই আসরে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ৬টি ছয় মারার রেকর্ড গড়েছিলেন।

৪০টি টেস্টের পাশাপাশি যুবরাজ সিং ওয়ানডে খেলেছেন ৩০৪টি। ওয়ানডেতে রয়েছে ৮ হাজার ৭০১ রান। ১৪টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৫২টি হাফসেঞ্চুরি। আবার ৫৮টি টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রহ ১ হাজার ১৭৭ রান। তাতে রয়েছে ৮টি হাফসেঞ্চুরি। এবারের আইপিএলে শিরোপা জয়ী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে সুযোগ পেলেও খেলতে পেরেছেন মাত্র ৪ ম্যাচে।