মালিঙ্গার হ্যাটট্রিকে শেষ ম্যাচে জয় শ্রীলঙ্কার

মালিঙ্গার উদযাপন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজে আগেই খুইয়েছে শ্রীলঙ্কা। শেষ টি-টোয়েন্টিতে দলকে ৩৭ রানে জেতানোর সঙ্গে অনন্য নজিরও গড়লেন লঙ্কান অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দেখা পেলেন দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের। সেই হ্যাটট্রিকের সঙ্গে টানা চার বলে চার উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়েছেন সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে।

ওয়ানডেতে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার বলে ৪ উইকেট নেওয়ার একমাত্র নজিরটা গড়া ছিল মালিঙ্গারই। দীর্ঘ ১২ বছর পর সেই একই ব্যক্তি টানা চার বলে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন টি-টোয়েন্টিতে। বুড়িয়ে গেলেও লঙ্কান টো ক্রাশারের বল ভুগিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।

১২৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কিউইদের একাই ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে শুরুতে মুনরোকে বোল্ড করে তুলে নেন টি-টোয়েন্টির শততম উইকেট। প্রথম বোলার হিসেবে এই ফরম্যাটে এমন নজির গড়লেন তিনি। পরের বলে রাদারফোর্ডকে ফেলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তারপর গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়েই তুলে নেন টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক।

পরের বলে টেলরকে ফেরালে চার বলে ৪ উইকেট ঝুলিতে নেন মালিঙ্গা। ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডের চেহারাটা ছিল- ৪ উইকেটে ১৫! এরপর ধীরে ধীরে কিউইদের কাছ থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে লঙ্কানদের কাছে। সেইফার্টকে ফিরিয়ে পঞ্চম উইকেটটিও তুলে নেন টো ক্রাশার। তার পরে আকিলা ধনাঞ্জয়া করেন বাকি সর্বনাশ। মিচেলকে রান আউটের ফাঁদে ফেলে একই ওভারে তুলে নেন কুগলেইন ও স্যান্টনারের উইকেট। ততক্ষণে ৪৭ রানে ৮ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের।

টড অ্যাস্টল ফিরে গেলে তারপর শেষ দিকে কিছুক্ষণ বড় শট খেলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক টিম সাউদি। ২৩ বলে করেন ২৮ রান। অপরাজিত থাকলেও তার সঙ্গী কেউ ছিল না। ১৬ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। মালিঙ্গা ৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুটি ধনাঞ্জয়ার।

তার আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ওপেনার গুনাথিলাকার সর্বোচ্চ ৩০ রান ছাড়াও দিকবেলার ২৪, মাদুশাঙ্কার ২০ রানে ৮ উইকেটে ১২৫ রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা।    ম্যাচসেরা লাসিথ মালিঙ্গা আর সিরিজ সেরা টিম সাউদি।