এমন উত্তেজনা আগে দেখিনি: ইডেনের কিউরেটর

ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখার্জি।বাংলাদেশ-ভারত দুই দলই এখন পর্যন্ত দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেনি। গোলাপি বলের টেস্টের স্বাদ তারা পেতে চলেছে ২২ নভেম্বর। উপমহাদেশ বলে দুই দলের এই টেস্টকে ঘিরে বিরাজ করছে বাড়তি উত্তেজনা। যা অতিক্রম করে ফেলেছে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনাপূর্ণ দ্বৈরথকেও! ইডেন গার্ডেনসের কিউরেটর সুজন মুখার্জি টের পাচ্ছেন সেই উত্তেজনা।

বুধবার সুজন মুখার্জী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এমন উত্তেজনা আমি এর আগে দেখিনি। পাকিস্তান ও ভারতের ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ থাকে। এখন সেই সব আগ্রহকে ছাড়িয়ে গেছে এই টেস্ট।’

সুজন মুখার্জী জানালেন, টেস্টকে ঘিরে দর্শকদের তুমুল আগ্রহের কথা, ‘টেস্টের টিকিট না পেয়ে দশর্করা হাহাকার করছে। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিন্তান ম্যাচ নিয়ে কিছুটা উন্মাদনা ছিল। তাও এবারের মতো নয়। ইডেনে আমি তিন বছর ধরে কিউরেটরের দায়িত্বে আছি। আমি এতো উত্তেজনা দেখিনি।’

ইডেনের এই কিউরেটর আরও জানালেন গুণীজনদের আগমনে এখন কলকাতায় বিরাজ করছে বাড়তি রোমাঞ্চ, ‘এই ম্যাচ ঘিরে কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বহু তারকারা মাঠে থাকবে। সব মিলিয়ে তাই বাড়তি রোমাঞ্চ কাজ করছে’

দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট কেমন হবে? এমন প্রশ্নে সুজন মুখার্জী জানালেন, ‘আমার উইকেট স্পোর্টিং হয়। তিন বছর ধরে এখানে সবার জন্য সুবিধা আছে। আমি সেরকম উইকেট বানিয়েছি, যাতে সবার জন্য কিছু থাকে।’

প্রথমবার এসজি বলে খেলা হবে দিবা-রাত্রির টেস্ট। এ বল নিয়ে তার মন্তব্য, ‘আমি ঘরোয়া একটা ম্যাচ গোলাপি বলে করিয়েছিলাম। সেটা ছিল কোকাবুরা বল। আর এটা হবে এসজি বলে। বলের তফাত হতে পারে। মাঠের বা উইকেটের চরিত্র মনে হয় না বদলাবে।’
যেহেতু দিবা-রাত্রির টেস্ট তাই প্রভাব ফেলতে পারে শিশির। তবে সুজন মুখার্জি মনে করেন, ‘আমি সাতটা, সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দুই তিনদিন ছিলাম। তাতে যে পরিমাণ শিশির পড়েছে, মনে হয়েছে মানানসই। কালও দেখেছি অতখানি শিশির নেই। আমরা শিশিরের এন্টিডিউ স্প্রে করছি, যাতে শিশির তাড়াতাড়ি নিচে নেমে যায়।’