২১২ রান করেও চেন্নাই সুপার কিংসের কপালে হয়তো দুশ্চিন্তার ভাঁজ ছিল। কারণ প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য এই রান করা কিছুদিন আগেও ছিল সহজ ব্যাপার। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পর তাদের বিপক্ষেও রান তাড়ায় হায়দরাবাদ সফল হলো না। ৭৮ রানের বড় জয় পেলো চেন্নাই। আর জোড়া আঘাতে তাদের গুটিয়ে দিয়ে জয়টা রাঙালেন মোস্তাফিজুর রহমান। চেপুকে এটি চেন্নাইয়ের ৫০তম জয়।
মোস্তাফিজ শেষটা রাঙালেও তার আগেই ম্যাচ জেতা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তুষার দেশপান্ডে তার দুই ওভারে তিন উইকেট নেন। ৪০ রানে তিন ব্যাটারকে হারানোর পর এইডেন মার্করাম (৩২) যা একটু লড়াই করেছেন।
মাঝের ওভারে মাথিশা পাথিরানার বোলিং তোপে হায়দরাবাদের হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে আইপিএলে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তুষার। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি।
মোস্তাফিজ ২.৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তাতে ১৮.৫ ওভারে ১৩৪ রানে অলআউট হায়দরাবাদ। সমান উইকেট পান পাথিরানা।
চেপুকে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাই ১৯ রানে ওপেনার আজিঙ্কা রাহানেকে হারায়। তবে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ওই ধাক্কা লাগতে দেননি। মাত্র ৬৪ বলে ১০৭ রান যোগ করেন দুজনে মিলে। ৩২ বলে ৫২ রান করে মিচেলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জয়দেব উনারকাট।
শিবম দুবেকে নিয়ে রুতুরাজ ৩৫ বলে ৭৪ রানের আরেকটি ঝড়ো জুটি গড়েন। দলকে ২০০ তে রেখে চেন্নাই অধিনায়ক আউট হন। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি রুতুরাজের। ৫৪ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৯৮ রান করেন তিনি।
দুবে ২০ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরলো চেন্নাই। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে গেলো তারা। হায়দরাবাদ হারলো টানা দ্বিতীয় ম্যাচ। অবশ্য আগের ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা ঠিক চেন্নাইয়ের পরে চতুর্থ স্থানে।