২২ নভেম্বর ইতিহাসের পাতায় নাম তুলতে চলেছে ইডেন গার্ডেনস। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে মরিয়া ওপার বাংলা। ইডেন সংলগ্ন ময়দানে শুধু একটাই আকুতি, 'দাদা একটা টিকিট হবে? অ্যাট লিস্ট পয়সার বিনিময়ে হলেও একটা টিকিট দিন।'
আইপিএল হোক বা টেস্ট, ইডেনের টিকিট বিক্রি হয় মোহামেডান মাঠ থেকে। সেখানেই কয়েক দিন হাজির হয়েছিলেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
টিকিট না পেয়ে সুবীর নামে এক ক্রিকেটপ্রেমী ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এভাবে, “৫০ রুপির টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৭০০ রুপিতে! এভাবে হয় নাকি? আইপিএলেও এমন হয়, প্রতি ম্যাচেই এমন হয়। এনিয়ে প্রশ্ন করলেই বলে, ‘সরে যান। আমরা কী করতে পারি? আমাদের হাতে কিছু নেই।’ এক সপ্তাহ ধরে এখানে আসছি, কিন্তু টিকিট পাচ্ছি না। উল্টো পুলিশ তাড়িয়ে দিচ্ছে।”
সাধারণ মানুষের কাছে টিকিট না যাওয়ার কারণ অবশ্য ভিন্ন। পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে ৯৪টি ক্লাব ছাড়াও ৪৫টি বিভাগের ইউনিট আছে। সবমিলিয়ে ১৩৯ টি সংস্থাকে ২০০টি করে ২৭ হাজার ৮০০ টিকিট দিতে হচ্ছে। এর বাইরে ভারত ও ভারতের বাইরের অতিথিরা আছেন। যে কারণে টিকিট নিয়ে হাহাকার দেখা যাচ্ছে।
টিকেটের কতটা সংকট তা বোঝাতে এর চেয়ে ভালো উদহারণ বোধহয় হবে না। তিন বছর ধরে ইডেনের কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সুজন মুখার্জির কাছে তারই পরিচিত একজন দুটো টিকিট চাইতে এলেন। এতো বড় পদে থেকেও তার কাছে টিকিট নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন। কৃষাণ নামের এই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে টিকিট পাওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্ন করলে সুজন তাকেও নিষেধ করে দিলেন। তিনি কিছুটা হাস্যরস করেই বললেন, ‘টিকিট সত্যিই সোনার হরিণ। আমার বউ-বাচ্চারা খেলা দেখতে চাইছে। কী করে দেখাবো, সেটাই বুঝতি পারছি না।’
টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়াতে ভীষণ রোমাঞ্চিত বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী, ‘আমি রোমাঞ্চিত। চার দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। শেষ কবে এভাবে টেস্টে চার দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে, তা আমার মনে পড়ে না ‘