শাহাদাত-কাণ্ডে শহীদ-সানির শাস্তি

বামে শহীদ ও ডানে আরাফাত সানি জুনিয়র। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানি জুনিয়রকে মারধরের ঘটনায় নিষিদ্ধ হয়েছেন পেসার শাহাদাত হোসেন। সেই ঘটনায় ইন্ধন ছিল মোহাম্মদ শহীদের। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার আরাফাত সানিকেও দোষী পাওয়া গেছে। তাই শাস্তির মুখোমুখি শহীদ ও সানি।

সতীর্থকে প্রহার করায় ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন শাহাদাত হোসেন। একই ঘটনায় নিজেদের ভূমিকার জন্য ১ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ শহীদ ও আরাফাত সানি জুনিয়রকে। শাহাদাত খেলতে না পারলেও বাকি দুইজনের খেলা চালিয়ে যেতে অসুবিধা নেই। তবে আগামী ১ বছরের মধ্যে ফের কোনো ধরনের বিতর্কিত কমকাণ্ডে লিপ্ত হলে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আগামী দিনগুলোতে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করবে বিসিবি।

মোহাম্মদ শহীদ ও আরাফাত সানি জুনিয়রের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ‘মাঠে তাদের এমন আচরণের কারণে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকেই তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। সামনে কোনও ধরনের বিতর্কিত কিছু পেলে সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আশা করি, তারা নিজেদের শুধরে নিতে পারবে।’

গত ১৭ নভেম্বর খুলনায় জাতীয় লিগের ম্যাচে কথা কাটাকাটির জের ধরে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সানিকে চড় মারেন শাহাদাত। আচরণবিধির ৪ ধারা ভঙ্গ করার দায়ে ম্যাচ রেফারি শেষ দুই দিনের জন্য বহিষ্কার করেন এই পেসারকে। পরে টেকনিক্যাল কমিটি ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে শাহাদাতকে।

ম্যাচ রেফারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় শহীদের হাত ধরে। আরাফাত হয়তো বেঁচে যেতেন। কিন্তু শুনানিতে ডাকার পর তারও দোষ ধরা পড়ে টেকনিক্যাল কমিটির কাছে।