তৃতীয় দিন বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে ৬ উইকেটে ১২৬ রানে। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রান করায় লিড পেয়েছিল ২১২ রানের। এর জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা দারুণ করলেও ধীরে ধীরে সেই চেনা বাংলাদেশেরই দেখা মিলেছে। তৃতীয় দিনের শেষভাগে নাসিম শাহর গতি-ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। তরুণ পেসার হ্যাটট্রিকে ফিরিয়েছেন নাজমুল শান্ত, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তাতে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট হ্যাটট্রিকের কীর্তিও গড়া হয়ে গেছে তার।
কিন্তু মুমিনুল হক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। সেই মুমিনুল ৯৩ বল খেলে ফেললেও চতুর্থদিন থিতু হতে পারেননি। প্রথম ওভারেই শাহীন শাহর গতিতে পরাস্ত হয়েছেন। বল গিয়ে লেগেছে প্যাডে। পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ৪১ রানে ফিরে গেছেন। মুমিনুলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।
রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে লিটন দাস জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বোলার রুবেলকে সহজেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ আব্বাস। ৫ রানে বিদায় নেন রুবেল।
অপরপ্রান্তে দৃষ্টিনন্দন শট খেলে লিটন কিছুক্ষণ আশা জুগিয়ে গেছেন ইনিংসটাকে একটু বড় করার। কিন্তু সুইপ খেলতে গিয়েই পড়েছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। ২৯ রানে লিটন বিদায় নেন ইয়াসির শাহর ঘূর্ণিতে। এরপর আবু জায়েদকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৬৮ রানে।
এই ইনিংসে ২৬ রানে ৪ উইকেট নাসিম শাহর, ৫৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৩৩ ও ১৬৮ (তামিম ৩৪, নাজমুল ৩৮, মুমিনুল ৪১; নাসিম ৪/২৬, ইয়াসির ৪/৫৮)
পাকিস্তান: ৪৪৫ (বাবর ১৪৩, আসাদ ৬৫, হারিস ৭৫; জায়েদ ৩/৮৬, রুবেল ৩/১১৩, তাইজুল ২/১৩৯)