বার্সাকে হারালেই রিয়ালের আনন্দ বেশি

সের্হিয়ো রামোস।ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ঘরের মাঠ হার। সেই ধাক্কা খেয়েই নামতে হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে। খারাপ সময় কাটানোর জন্য এর চেয়ে ভালো উপলক্ষ আর কি হতে পারে! রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সের্হিয়ো রামোসও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বার্সেলোনাকে হারাতে পারলে তাদের আনন্দের মাত্রা একটু বেশিই থাকে।

রবিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল-বার্সা। লিগের প্রথম এল ক্লাসিকো গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয়েছিল। ১৭ বছর পর প্রথমবার ফুটবল বিশ্ব দেখে গোলহীন ক্লাসিকো। এবারের উত্তাপ আরও বেশি। ২৫ ম্যাচ শেষে দুই দলের ব্যবধান মাত্র ২ পয়েন্টের। বার্সেলোনার ৫৫, রিয়ালের ৫৩।  পিছিয়ে থাকা রিয়াল ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে শীর্ষে ওঠারই স্বপ্ন বুনছে।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে তাদের মধ্যে উন্মাদনাও অন্যরকম। কারণ ক্লাসিকো মানেই ‘অন্যরকম ম্যাচ’। লা লিগার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রামোস জানালেন তেমনটাই, ‘এটা আর সব ম্যাচের মতো নয়। এখানে শুধু ৩ পয়েন্টের লড়াই হয় না, যেমনটা অন্য সব ম্যাচে হয়। এল ক্লাসিকো আর দশটা ম্যাচ থেকে আলাদা। কারণ বার্সেলোনাকে হারাতে পারলে আমাদের আনন্দ বেশি হবে।’

উৎসবের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের ব্যাপারটাও রয়েছে। যদিও ক্লাসিকো দিয়েই শিরোপা নির্ধারণ হয়ে যাবে এমনটা মনে করেন না রামোস, ‘মৌসুমের এই অবস্থায় পয়েন্ট টেবিলের দিকে দেখুন, খুব একটা পার্থক্য নেই। আমরা এমন একটি অবস্থানে আছি যেখানে দলগুলোকে আলাদা করা শক্ত। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এই ম্যাচটির (ক্লাসিকো) গুরুত্ব অন্যরকম। তবে সেটি আমাদের জন্য কতটা কার্যকর, তা নির্ভর করবে ফলাফলে। যদিও আমার মতে লা লিগা মৌসুমের এখনও অনেকটা পথ বাকি। এখনও অনেক পয়েন্টের খেলা আছে, আর যেকোনও কিছু হতে পারে।’

যদিও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আশা ঠিকরে বেরিয়েছে তার পরের কথায়, ‘ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে জয় পাওয়াটা আমাদের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। ভক্তরা আমাদের অসম্ভব রকম আত্মবিশ্বাস জোগায়, তাই জিতলে তাদের স্বস্তি দিতে পারব। আশা করছি তাদের আশা পূরণ করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারব।’

গত ডিসেম্বরে ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচে নতুন রেকর্ড গড়েছেন রামোস। তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি এল ক্লাসিকো খেলা ফুটবলার। ৪৩ ম্যাচ নিয়ে শীর্ষে বসা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নিতে নামতে যাচ্ছেন বার্নাব্যুর ক্লাসিকোতে, ‘এল ক্লাসিকোয় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলাটা দারুণ আনন্দের। আশা করছি আরও খেলতে পারব।’