ঠিকমতো নিঃশ্বাসই নিতে পারতেন না দিবালা!

পাওলো দিবালাইতালিকে একেবারে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে করোনাভাইরাস। দেশটির জনজীবনের প্রতিটি স্তরেই এটির করাল থাবা পড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফুটবল লিগ সিরি ‘আ’র ১৫ জন খেলোয়াড় করোনা-সংক্রমিত হয়েছেন।

জুভেন্টাসের দানিয়েলে রুগানি প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। পরপরই তার জুভে সতীর্থ ব্লেইজ মাতুইদিকে ধরে করোনা। পাওলো দিবালাও করোনার কবলে পড়েন কদিন পর। বান্ধবী ওরিয়ানাসহ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরটি আর্জেন্টাইন তারকা নিজেই জানান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, ‘আপনাদের প্রত্যেককে জানাতে চাই যে এইমাত্র যে কভিড-১৯ পরীক্ষার ফল হাতে পেলাম, তাতে দেখা যাচ্ছে আমি ও ওরিয়ানা দুজনই পজিটিভ। সৌভাগ্যবশত আমরা খুব ভালো আছি। আমাদের কুশল জানতে চেয়েছেন, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’

এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। দিবালা করোনা-আক্রান্ত হলেও ভালো ছিলেন, অস্বস্তি বোধ করেননি। জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন তারকা ভালো আছেন, এটা তার অসংখ্য ভক্তকুলের জন্যও ছিল স্বস্তির খবর। কিন্তু এই দিবালাই করোনা আক্রান্ত হওয়ার ৬ দিন পর যা জানালেন তা ভয়াবহ। খুবই খারাপ হয়ে পড়েছিল তার শরীর। নি:শ্বাস নিতেই ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। সমস্ত মাংসপেশি ছিল ব্যথায় কাতর। পাঁচ মিনিটের বেশি কোনও কাজ করাই সম্ভব হচ্ছিল না তার পক্ষে! জুভেন্টাসের ২৬ বছর বয়সী প্লে-মেকার। সুপার ফিট খেলোয়াড়। তারই কিনা করোনার সঙ্গে এমন লড়াই চলেছে!

ছয়দিন করোনার সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের পর ২৭ মার্চ জুভেন্টাসের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল পারফুটবল-ইতালিয়াতে যা বলেছেন দিবালা, তাতে তার ভক্তরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন। দিবালা জানান, ‘আজ (২৭ মার্চ) আমি ভালো আছি, আগের চেয়ে অনেক ভালো লাগছে। চলতে ফিরতে পারছি, চেষ্টা করছি সামান্য অনুশীলনের।’

করোনায় আক্রান্ত ইংলিশ ফরোয়ার্ড চার্লি অস্টিনও বুঝেছেন করোনা কী ভয়ঙ্কর, ‘এক সপ্তাহ পর আমি সবাইকে বলতে পারি, এমনকি ২০-৩০ বছর বয়সীরাও করোনাকে হালকাভাবে নেবেন না। এটা আসলেই মারাত্মক।’