বিশেষ বিমানে মা-বাবার কাছে ফিরছেন রিভেরা

করোনাভাইরাসের কারণে অন্য সতীর্থদের মতো ঢাকায় একপ্রকার ‘বন্দি জীবন’ কাটছিল সিডনি রিভেরার। অনুশীলনের সুযোগ ছিল না। নিজের1রুমেই সময় কাটছিল। অপেক্ষায় ছিলেন একসময় ঢাকা ছাড়বেন। অবশেষে সেই সুযোগ এসেছে। সোমবার বিকেলে চার্টার্ড প্লেনে করে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দিতে যাচ্ছেন রিভেরা। বিমান ঢাকা থেকে যাবে ওয়াশিংটন। তারপর সড়কপথে নিউজার্সি গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মিলবেন।

ঢাকাস্থ মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিশেষ একটি চার্টার্ড বিমান সোমবার বিকেলে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকায় বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ঢাকা ছাড়ার ‍সুযোগ করে দিতেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। রিভেরারও এই সুযোগে ঢাকা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকটা বন্দিদশা থেকে যেন মুক্তির আনন্দ তার কন্ঠে, ‘করোনাভাইরাসের কারণে রুম থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ছিল। শুয়ে-বসেই সময় কেটে যাচ্ছিল। এমনিতেই এখানে খেলা বন্ধ। অনুশীলনও সেভাবে নেই। তাই ভালো লাগছিল না। মন পড়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। নিজের পরিবারের কাছে। এখানে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই সুযোগ এসে যায়। ফিরে যাচ্ছি পরিবারের কাছে।’

ফিরে যাওয়ার পেছনে আমেরিকান এই  ফুটবলারের ক্লাব পুলিশ এফসির অবদানও কম নয়। ক্লাবও সাধ্যমতো সাহায্য করেছে তাকে।

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক এখন সবার মধ্যে। রিভেরাও ব্যতিক্রম নন,‘এই মুহুর্তে খেলার চেয়ে জীবন বাঁচানো বড়। কেউ জানে না কতদিন এই পরিস্থিতি থাকবে। এতদিন বাসায় বসে বই পড়েছি। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছি। বাসায় বসে যতটুকু সম্ভব অনুশীলন করেছি। কিন্তু মন মানছিল না। নিজের বাসায় ফিরে যেতে ইচ্ছা করছিল।’

প্রথমবার এসেই রিভেরা সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। পুলিশ এফসির হয়ে খেলে গোল করেছেন চারটি। সানডে-কলিনদ্রেসকে ছাড়িয়ে ফেডারেশন কাপে হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা।  ছয় ফুট দুই ইঞ্চি দীর্ঘ ফরোয়ার্ড লিগে গোল পেয়েছেন যদিও একটি। সামনের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও মাঠ মাতাতে চান রিভেরা, ‘কখন খেলা শুরু হবে বলতে পারছি না। তবে এই পরিস্থিতি সামলে উঠে আবারও মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছি। তার আগে নিজের দেশে গিয়ে বাবা-মার সঙ্গে সময় কাটাবো। সেখানে অবশ্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারপরেও স্বস্তি যে নিজের বাড়িতে যেতে পারছি। আশা করছি এই পরিস্থিতির দ্রুত অবসান হবে।’