জলন্ধরে ৫ হাজার পরিবারের পাশে হরভজন

গীতা ও হরভজন সিং‘ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, বিনিময়ে এতটুকু তো আমি করতেই পারি।’ কথাটা ভারতের ক্রিকেটার হরভজন সিং ওরফে ভাজ্জির।

‘এতটুকু’ নয়, করোনাভাইরাসজনিত সংকটকালে তার জন্মস্থান জলন্ধরের বিপন্ন মানুষের জন্য অনেক কিছুই করছেন ৩৯ বছর বয়সী অফ স্পিনার। তিনি ও তার স্ত্রী গীতা মিলে ৫০০০ পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েছেন কি, কাজও শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিদিন প্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ কেজি চালের সঙ্গে ময়দা, তেল এবং অন্যান্য রান্নার উপকরণ থাকছে তার খাবারের প্যাকেটে।

ভাজ্জি এখন থাকেন মুম্বাইতে। তাহলে কীভাবে তিনি পাঞ্জাবের জলন্ধরের মানুষের পাশে থাকছেন? হরভজন থাকতেন জলন্ধরের দৌলতপুরি এলাকায়। ওই এলাকায় তার বাল্যবন্ধুদের নিয়ে একটা গ্রুপ তৈরি করে তাদের হাত দিয়ে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন, আর সাহায্য নিচ্ছেন জলন্ধরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের।

যতদিন পর্যন্ত না দেশে  স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে, ততদিন এই সহায়তা চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন টার্বুনেটর নামে পরিচিত অফ স্পিনার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে এখন ভারতে। এ  পর্যন্ত ৩৩৭৪ জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে আর মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ২১ দিনের লকডাউন চলছে ভারতে, যা শেষ হবে ১৪ এপ্রিল।

পাঞ্জাবের জলন্ধরে এসে নিজের হাতেই এই ত্রাণকাজ চালানোর ইচ্ছে আছে ভাজ্জির, ‘আমার ইচ্ছে আছে সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছানোর এবং আমার বাল্যবন্ধু এবং পাঞ্জাব পুলিশকে ধন্যবাদ জানানোর। আমরা শুরুটা ভালো করেছি। কিন্তু এখনও অনেক কাজ করতে হবে।’