হালনাগাদের এই র্যাঙ্কিংয়ে বাদ পড়েছে ২০১৬-১৭ মৌসুম। আর শতভাগ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সালের মে থেকে খেলা ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স। আর আগের দুই বছরের পারফরম্যান্স থেকে নেওয়া হয়েছে ৫০ ভাগ। টেস্টে ভারতকে পেছনে ফেলা অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্ট এখন ১১৬। ১১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড। কপাল পুড়েছে ভারতের। ১১৪ পয়েন্ট নিয়ে একেবারে তিনে নেমে গেছে বিরাট কোহলির দল।
২০০৩ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিং চালুর পর দ্বিতীয়বার এমনটি ঘটলো। যেখানে মাত্র কয়েক পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে থাকলো উপরের তিনটি দল। এর ফলে ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর টেস্টের শীর্ষ আসনচ্যুত হলো ভারত। এর বড় একটি কারণ বাতিল হওয়া ২০১৬-১৭ মৌসুম। এই মৌসুমেই কোহলিরা টেস্ট জিতেছে ১২টি, হেরেছে মাত্র একটিতে। এই সময়ে ভারত ৫টি সিরিজ জিতেছে।
এই র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয় বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট খুঁইয়েছে তারা। এরফলে শ্রীলঙ্কার পেছনে পড়তে হয়েছে তাদের। প্রোটিয়াদের অবস্থান ষষ্ঠ, পাঁচে রয়েছে শ্রীলঙ্কা।
অপর দিকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১২৭ রেটিং নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের রেটিং বেড়েছে-৩। ১১৯ রেটিং নিয়ে দুইয়ে ভারত। তাদের রেটিং বেড়েছে মাত্র-১। ১১৬ রেটিং নিয়ে তার পরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড। চারে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাঁচে অস্ট্রেলিয়া। ছয়ে পাকিস্তান ও সাতে বাংলাদেশ।
এদিকে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এসেছে বড় ধরণের পরিবর্তন। ২০১১ সালে এই র্যাঙ্কিং চালুর পর এই প্রথম শীর্ষ আসন দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া। ২৭৮ রেটিং নিয়ে তারা শীর্ষে। অথচ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কিউইদের পেছনে ফেলে ২৭ মাস শীর্ষে ছিল পাকিস্তান। তারা এখন ২৬০ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে।
২৬৮ রেটিং নিয়ে দুইয়ে ইংল্যান্ড। ভারত ২৬৬ রেটিং নিয়ে তিনে অবস্থান করছে। পাঁচে থাকা প্রোটিয়াদের রেটিং ২৫৮। ছয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, সাতে শ্রীলঙ্কা, আটে বাংলাদেশ ও নয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।