বায়ার্নের শুরুও জয় দিয়ে

প্রথম গোলের পর লেভানডভক্সিফুটবলের মতো একটা সপ্রাণ দলীয় খেলায় এত বিধিনিষেধের বেড়াজাল কি মনে থাকে? জোসুয়া কিমিচের কর্নার কিক থেকে ৮০ মিনিটে দারুণ এক ফ্লিকে গোল করে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ এগিয়ে দিলেন বেঞ্জামিন পাভার। গোলটির উদযাপন বেশ ভালোই হলো। সতীর্থ ডেভিড আলাবার মাথা টেনে নিলেন বুকের কাছে। এটা দেখে থিয়াগোসহ কাছে থাকা অন্য সতীর্থদের চক্ষু চড়ক গাছ। হায়, হায়, এটা কী? করোনাভাইরাসকে ভুলে যাওয়া নয় তো!

রবিবার বায়ার্ন মিউনিখ ও ইউনিয়ন বার্লিনের ম্যাচের ঘটনা বলতে ওই একটাই। তা ছাড়া করোনায় থেমে থাকা জার্মানির বুন্দেসলিগা আবার শুরুর দ্বিতীয় দিনে অদ্ভুত রকমের ফুটবলই দেখলো পৃথিবী। শূন্য গ্যালারি। মাঠের ২২ জন খেলোয়াড় ও রেফারি ছাড়া আর সবার মুখেই মাস্ক। ডাগআউটে কোচ ও অতিরিক্ত খেলোয়াড়েরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসে আছেন দূরে দূরে। খেলায় যতটা পারা যায় ছোঁয়াছুঁয়ি এড়িয়ে চলার প্রবণতা ফুটবলারদের মধ্যে। বদল হয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তেই খেলোয়াড়ের মুখে মাস্ক লাগানো সারা। করোনারোধী যান্ত্রিক ফুটবল। আর এরকম ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ ওই ২-০ গোলেই হারালো ইউনিয়ন বার্লিনকে। পেনাল্টি থেকে ৪০ মিনিটে বায়ার্নকে প্রথমে এগিয়ে দেন লেভানডভস্কি। বায়ার্নের হয়ে চলতি মৌসুমে ৩৪তম ম্যাচে ৪০তম গোল এটি পোলিশ স্ট্রাইকারের। আর ইউনিয়নের মাঠে এই জয় আবার চার পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষে তুলে দিল টানা অষ্টম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ছুটে চলা বায়ার্নকে।

আর আটটি করে ম্যাচ বাকি। ২৬ ম্যাচ শেষে বায়ার্নের পয়েন্ট ৫৮, তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ৫৪। দিনের অন্য ম্যাচে কোলন ২-২ গোলে ড্র করেছে মেইঞ্জের সঙ্গে।