ওয়াসিমের অবদানের কথা স্মরণ করলেন তারা

তামিমের লাইভ আড্ডায় ছিলেন ওয়াসিম, নান্নু, আকরাম ও পাইলট। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে আবাহনীর হয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওয়াসিম আকরাম। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির হয়ে সুইং অব সুলতান দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। পাকিস্তানি কিংবদন্তির পেস বোলিং খেলেই ওই সময় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দক্ষতা বেড়েছিল। তামিমের ফেসবুক লাইভ আড্ডাতে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানালেন ওয়াসিমের সেই অবদানের কথা, 'ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়াসিম আকরামদের বিপক্ষে খেলা আমাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের ক্রিকেটের উন্নতির মূল জায়গা হচ্ছে আমরা ৯০ সালের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। নিয়মিত তারা উইলস কাপ খেলে গেছে, ফলে তাদের ফাস্ট বোলারদের আমরা খেলতে পেরেছি। তৌসিফ আহমেদের মতো খেলোয়াড়কে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে পেয়েছি। আমাদের দক্ষতা বাড়াতে ওয়াসিম আকরামদের মতো বোলারের অবদান অনেক ছিল।’  

নান্নুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেছেন আকরাম খানও, ‘এখন তো অনেক ম্যাচ হয়। কিন্তু আমাদের সময় আসলে এত ম্যাচ হতো না। দুই বছরে আমরা দুই তিনটা ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে পারতাম। শুধু এশিয়া কাপ খেলা হতো। ফলে তখন এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া ছিল যে ওয়াসিম আকরামের মতো একজন বড় ক্রিকেটার এসে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন এবং আমরা তাদের মতো বোলারের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছি।'

তামিমের লাইভে উপস্থিত ছিলেন সবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনিও ভোলেননি ওয়াসিম আকরামের অবদানের কথা। খেলোয়াড়ি জীবনের কথা স্মরণ করে বলেছেন, কীভাবে ওয়াসিমের কথা তাকে অনুপ্রেরণা দিত, ‘‘ওয়াসিম আকরামের মতো খেলোয়াড় যখন আমাদের সঙ্গে খেলেছে, তখন কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়ে যায়। সে যখন আবাহনীর হয়ে খেলতে এসেছিল, তখন আমি ওই দলের কিপার। আগের রাতে আমার ঘুম হয়নি। দ্রুত গতি বোলার, এক্সট্রা বাউন্স সবকিছু মিলিয়ে আমি খুব ভয়ে ছিলাম। আগের রাত থেকে আমার মধ্যে টেনশন কাজ করেছে। তারপরও তার বলে দারুণ সেভ করেছিলাম। ডাউন দ্য লেগে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরেছিলাম। আমার কাছে এসে আমাকে বলেছে, ‘তুইতো মঈনের মতো ক্যাচ ধরেছিস।’ অনুপ্রেরণামূলক কথা কিছু কিছু মানুষকে অনেক উৎসাহী করে তোলে। আমার মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করেছে, এত গতির বল যদি আমি ধরতে পারি, তাহলে সাধারণ গতির বল কেন আমি ধরতে পারবো না।’’