থুতু নিষিদ্ধ হলে অন্যকিছু, আইসিসিকে প্যাট কামিন্স

প্যাট কামিন্সক্রিকেট বলে থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধের সুপারিশের পর এটা প্রত্যাশিতই ছিল যে পেস বোলারদের দিক থেকে প্রতিক্রিয়া আসবে। প্রথম প্রতিক্রিয়া  জানালেন আইসিসির সর্বশেষ টেস্ট  র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী সেরা বোলার প্যাট কামিন্স। ২৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার ক্রিকেটের আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বলে থুতু ব্যবহার যদি নিষিদ্ধই হয়, তাহলে কৃত্রিম কোনও জিনিস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক।

ক্রিকেট বলে থুতুর ব্যবহারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বড় ঝুঁকি থাকে, আইসিসির মেডিকেল উপদেষ্টা কমিটির এমন পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী আইসিসির ক্রিকেট কমিটি ১৮ মে থুতুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

তবে শরীরের ঘাম ব্যবহারে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা নেই বলে ভারতের সাবেক লেগস্পিনার অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি ঘাম ব্যবহারে আপত্তি তোলেনি।

আইসিসির ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ মানে এটি আইন প্রায় হয়েই গেছে। এতে এখন দরকার শুধু আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কমিটির ‘সিল’। সেটি জুনের গোড়ার দিকে অনুষ্ঠেয় কমিটির সভাতেই হয়ে যাবে। অর্থাৎ করোনাভাইরাস সৃষ্ট দীর্ঘ বিরতি শেষে আগামী জুলাই মাসে মাঠে নামা ক্রিকেটেই দেখা যাবে যে বোলাররা বলে থুতু ব্যবহার করতে পারছেন না।

সুইং পাওয়ার জন্য বলে থুতু এবং ঘাম ব্যবহার করা ক্রিকেটের বহু পুরোনো রীতি। বল একটু পুরোনো হয়ে গেলে একপাশে থুতু লাগিয়ে ঘষে ঘষে ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। এতে অমসৃন পাসে বাতাস লাগে বেশি, আর গতিবিদ্যা অনুযায়ী বাতাসেই বলটির নড়াচড়ায় সুইং করে।

ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু থুতুর মতো তা সহজলভ্য নয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট ক্রিকেটডটকমডটএইউকে কামিন্স এ প্রসঙ্গেই বলেছেন, ‘আমরা যদি থুতু বাদ দিই তাহলে অন্য বিকল্প আমাদের থাকতে হবে। ঘাম খারাপ নয়, কিন্তু এর চেয়েও আরও বেশি কিছু দরকার আমাদের, সেটাই আদর্শ। সেটা মোমের হালকা প্রলেপ হবে, না অন্য কিছু, আমি জানি না। বিজ্ঞান যদি আমাদের বলে যে থুতু ব্যবহার করাটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ… অন্য বিকল্পগুলো আমাদের উন্মুক্ত রাখতেই হবে, সেটা হোক ঘাম বা ঘামের সঙ্গে অন্য কোনও কৃত্রিম জিনিস।’

কামিন্সের সহখেলোয়াড় এবং অস্ট্রেলিয়া দলের আরেক ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজলউড বলে থুতুর ব্যবহার চালিয়ে যেতে চান, তিনি মনে করেন থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও এর ওপর নজরদারি চালানোটা খুব কঠিন হবে। সিডনির ডেইলি টেলিগ্রাফের কাছে তিনি বলেছেন, ‘একজন বোলারের কাছে বলটা যখন আসবে, স্বভাবগতভাবেই সেটির দিকে চোখ বুলিয়ে সে এটা সামান্য হলেও ঘষবে, সুতরাং নিশ্চিতভাবেই নজরদারিটা খুব কঠিন  হবে।’ 

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ম্যাচের সময় বল জীবানুরোধী করে নেওয়ার কথা ভাবছে। আবার এ মাসেরই প্রথম দিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বল প্রস্তুতকারক কোম্পানি  কুকাবুরা একধরনের প্রলেপ তৈরি করার কথা বলেছে, যা বলের পালিশ ধরে রাখে। অনুমতি পেলেই সাময়িকভাবে হলেও এটি বানিজ্যিকভাবে সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।