শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজিত ফেসবুক লাইভ আড্ডায় জামাল নিজেই বলেছেন, ‘যখন আমি যুব ফুটবলে কোপেনহেগেন এফসিতে (ডেনমার্কের ক্লাব) খেলি, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলে একসময় খেলবো। কিন্তু কখনও অধিনায়ক হতে পারবো তা চিন্তা করিনি।’
ব্যাপারটি মোটেই এমন নয় যে জামাল ভূঁইয়া খুব সহজেই বাংলাদেশ দলে ঢুকে গেছেন। কম পরিশ্রম করতে হয়নি তাকে। প্রথম বছর ঢাকায় এসে জাতীয় দলের জন্য মনোনীত হতে পারেননি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাঠে অনুশীলনেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন এই মিডফিল্ডার। পরের বছর প্রস্তুতি নিয়ে ট্রায়ালে অংশ নেন। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায়। ২০১৩ সালে সেই যে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক হয়েছে তার, এখনও দোর্দণ্ড প্রতাপে খেলে যাচ্ছেন। প্রথম ম্যাচের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে তার কাছে, ‘মাঠে যখন জাতীয় সংগীত বাজছিল, তখন তা শুনে শিহরিত হয়েছিলাম। সেই মুহুর্তটা আসলেই ভোলার নয়। সেই মুহূর্তটাই আমার কাছে সবচেয়ে সুখকর মুহুর্ত।’ জামাল এখন বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করেন, ‘এখন আমি বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে থাকি। এতে আমি গর্ববোধ করি। আমার লক্ষ্য, বাংলাদেশকে সাফ শিরোপা পাইয়ে দেওয়া। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কিছু পয়েন্ট এনে দেওয়া। আর দলকে র্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরের দিকে নেওয়া।’