এই জুন মাসেই ইংল্যান্ড সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জুলাইয়ের ৮ তারিখ থেকে তিন টেস্টের সিরিজ খেলবে তারা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গে। এই সিরিজ দিয়েই আবার মাঠে নামছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যা সেই মার্চ মাসেই গভীর অনিশ্চিয়তা নিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে।
স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট শো ‘ক্রিকেট কানেক্টেডে’ সাঙ্গাকারা বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি এই নির্দেশিকা মেনে খেলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের অনেক বাধানিষেধের মুখে পড়তে হবে, সত্যিই এটা খুব অদ্ভুত লাগবে, আমার নিজের কাছেই অস্বস্তিকর ঠেকবে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথাই তো ভাবতে হবে আগে। এই মুহূর্তে সবকিছুর আগে স্বাস্থ্য, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী করে খেলায় ফিরিয়ে আনার জন্য। এর পর কোনও এক সময় আমরা হয়তো মাঠে দর্শকও পাবো।’
আইসিসি ঘোষিত সুরক্ষাবিধির মধ্যে রয়েছে প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা নিয়োগ করা, ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের ১৪ দিনের আইসোলেশন ট্রেনিং ক্যাম্প এবং বল হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আম্পায়ারদের গ্লাভস পরে মাঠে নামা।
আইসিসির নির্দেশিকার মূল্যায়ণ করতে গিয়ে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের শ্রীলঙ্কান সভাপতি বলেন, ‘এটি আসলে একটি অংশীদারিত্বমূলক ব্যাপার। আপনি যখন চুক্তিবদ্ধ থাকবেন, আপনার নিয়োগকর্তারই দায় একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা, খেলোয়াড়দের শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করা যে তারা সুরক্ষিত পরিবেশেই কাজ করতে যাচ্ছে। বিনিময়ে খেলোয়াড়দেরও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার দায় আছে। এটা শুধু আপনার-আমার বিষয় নয়, এটা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া রোধ করারও বিষয়-আপনার খুব কাছের মানুষ, সমাজের প্রবীণ মানুষ- সুতরাং আপনাকে সবসময় এটি মনে রাখতে হবে।’
সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট অধিনায়ক মনে করেন সবাই বুঝবে যে আইনগুলো ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবেই করা হয়েছে।