করোনাকালের-বলি কেভিন রবার্টস

কেভিন রবার্টস।

করোনাকালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন কেভিন রবার্টস। তার বদলে এখন অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক প্রধান নিক হোকলে।

করোনাকালে রবার্টসের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ভালো চোখে নিতে পারেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাব্যক্তিরা। তার মধ্যে ছিল এপ্রিলে ৮০ ভাগ কর্মচারিকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো। একই সঙ্গে আর্থিক সঙ্কটকে প্রকট করে দেখানোতেও তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বোর্ড। এমনকি বাড়তি ব্যয় সঙ্কোচন নীতি অবলম্বনের পথেও হাঁটছিলেন তিনি। কিন্তু এর বিরোধিতা করে রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনগুলো।

এমনকি তার কিছু পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট ছিলেন খেলোয়াড়েরাও। ঘরোয়া ক্রিকেট সূচি কাটছাঁট থেকে শুরু থেকে লভ্যাংশের শূন্য সম্ভাবনায় নিজেদের আয়ের ব্যাপারটিতেও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তারা।

রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ বলতে গেলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া। ভারতের সঙ্গে লাভজনক সিরিজের চার টেস্টের একটির ভেন্যু ছিল পার্থে। কিন্তু সেটি বাতিলের সিদ্ধান্তটি ভালো চোখে নেয়নি তারা।

এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যথা সময়ে হবে না, এ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এসব বিষয়ই ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল বাকি সদস্যদের। তাই বিদায় বলতে হয়েছে রবার্টসকে।

বলতে গেলে অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে দুঃসময়ই বয়ে এনেছে করোনাকাল। ক্রীড়াঙ্গনের তৃতীয় কোনও কর্মকর্তা চাকরি হারালেন। এর আগে ন্যাশনাল রাগবি লিগ ও রাগবি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানরা চাকরি হারিয়েছেন সম্প্রতি।