করোনাভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা না থাকলে শুধু লিভারপুল কেন, গোটা ইংল্যান্ডই হয়তো লিভারপুলের লাল রংয়ে রঙিন হতো। কতদিন, কতদিন ইংলিশ লিগের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় না ইংল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি। জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ এসে বদলে দিয়েছেন ক্লাবটিকে। গত বছর যেমন অসাধারণ ফুটবল খেলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে লিভারপুল, তা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অধরা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা আসছে। সেটি অবশেষে এলো। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর ৩০ বছর পেরিয়ে!
বিরতির সময় ১-০ থাকা চেলসি জয়ের সুবাস পাচ্ছিল, আর দূর থেকে শিরোপার সুবাস পাচ্ছিল লিভারপুল। কিন্তু ৫৫ মিনিটে অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে গোল করে সিটিকে সমতায় ফেরান কেভিন ডি ব্রুইনা। সেই সঙ্গে লিভারপুলকেও একটু উদ্বিগ্ন করে তোলেন, তবে আজ আর হলো না শিরোপা-উৎসব। এমনিতেই বল দখলে বেশি ছিল সিটির, তারপর এই গোল তাদের উজ্জীবিত করে তোলে নতুন করে। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে কপাল পোড়ে সিটির। হাই ডিফেন্স লাইন নিয়ে গতি সমৃদ্ধ চেলসির সঙ্গে তারা পেরে ওঠেনি। আগেই একটি বল গোললাইন থেকে বাঁচানো গিয়েছিল। দুই মিনিটের ব্যবধানে তীব্র এক আক্রমণ করে চেলসি। এবারো গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহো। কিন্তু ‘ভিএআর’-এর বিচারে দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার বল ফিরিয়েছেন হাত দিয়ে। হ্যান্ডবল, লালকার্ড এবং পেনাল্টি। পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন ব্রাজিলেরই একজন-উইলিয়ান। সংখ্যাগত সুবিধা নিয়ে চেলসি তখনই অবশ্য বার্তা পাঠিয়েছে লিভারপুলকে, এবার তোমরা উৎসব করতে পারো! তবে লিভারপুলের উৎসবটা স্বত:স্ফূর্ত হতে পারছে না করোনার কারণে। লিভারপুলের সিটি মেয়র ক্লাবের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরেই যেন উৎসব করা হয়। উৎসবের চেয়েও জীবন যে বড়!
ড্র নয়, জিতেই প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলকে ‘উপহার’ দিল চেলসি। ২০১৮ সালে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সিটি। এবার সাত ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল, তারাও পেতে পারে ১০০ পয়েন্ট। ৩১ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট লিভারপুলের, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিটির ৩১ ম্যাচে ৬৩। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পেতে চতুর্থস্থানে আরও জাঁকিয়ে বসলো চেলসি, সমান ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট ৫৪।