পরিস্থিতি এমনটা যে হবে তার আভাস আগেই দিয়েছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। তিনি আবার আইসিসির অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক কমিটিরও প্রধান।
বার্ষিকভাবে আইসিসির কাছ থেকে এসিবি একটা অর্থ পায় ঠিকই। কিন্তু করোনাকালে অতদিন অপেক্ষায় থাকার মতো অবস্থা বোর্ডটির নেই। কারণ গত বছরই বড় স্পনসর আলোকোজেই গ্রুপ চুক্তি বাতিল করেছে এসিবির সাথে। পরিস্থিতিটা আরও জটিল করেছে ভারতীয় ফার্ম টাইকা। তারা দুই বছর মেয়াদী অ্যাপারেল স্পন্সর বাতিল করেছে করোনার কারণে। অথচ চুক্তিটি এই বছর পর্যন্তই বহাল থাকার কথা ছিল।
নতুন আর্থিক কাঠামো অনুসারে আইসিসির কাছ থেকে ২০১৬-২৩ চক্রে ৪০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল এসিবির। অবশ্য এই পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছিল আইসিসির প্রত্যাশিত আয়ের ভিত্তিতে। যার পরিমাণ ছিল ২.৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আয় কমে যাওয়ায় রাজস্বও কমে যাচ্ছে এসিবির। এই বছরের জানুয়ারিতে বণ্টনকৃত অর্থ থেকে এসিবি পেয়েছে ২.৪ মিলিয়ন ডলার।
এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী প্রধান নির্বাহী নাজিম ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘আমরা আইসিসির কাছ থেকে ১০ লাখ ডলার অনুদানের জন্য আবেদন করেছি। যাতে এসিবির কাজকর্ম মসৃণভাবে চলে।’
এসিবির সভাপতি ফারহান ইউসেফজাইও স্বীকার করেছেন আর্থিক অনুদানের বিষয়টি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা আর্থিক সহায়তার জন্য আইসিসির কাছে অনুরোধ করেছি। আশা করছি, এই সহায়তা আমাদের কাজকর্ম আরও কার্যকর ও দক্ষতার সাথে প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।’