এই আগস্টেই মুক্তি পেতে পারেন রোনালদিনহো

রোনালদিনহোরোনালদিনহোকে হাতছানি দিয়ে ডাকে কাতালুনিয়ার বেলাভিস্তা এলাকার সমুদ্র সৈকত। এখানকার জীবন ও প্রকৃতি। বার্সেলোনায় যখন ছিলেন, ব্রাজিলের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়ে এখানেই থেকেছেন ২০০৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত। এখন এ এলাকায় থাকেন মেসি ও সুয়ারেজ। স্পেন ছেড়ে চলে এসেছেন সেই কবে। কিন্তু এখনও তাকে আকুল করে বেলাভিস্তার বন্ধুদের উষ্ণ সান্নিধ্যের স্মৃতি। প্যারাগুয়ে থেকে মুক্তি পেলে এখানেই ফিরে আসতে পারেন ব্রাজিল ও বার্সেলোনার ফুটবল কিংবদন্তি। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার খবর, তার আইনজীবীরা এ মাসেই তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন।

ভাই রবার্তোর সঙ্গে জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হওয়ার পর পাঁচ মাস কেটে গেছে। এখনও মুক্ত পৃথিবীতে পা ফেলতে পারেননি ৩৯ বছর বয়সী রোনালদিনহো। একমাস কেটেছে কারাগারে। গত এপ্রিল মাস থেকে ভাইয়ের সঙ্গে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে আসুনসিওনের পালমারোগা হোটেলে।

প্যারাগুয়েতে গিয়েছিলেন খুদে ফুটবলারদের একটি ফুটবল ক্লিনিক উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পেয়ে। কিন্তু ব্রাজিলের প্রতিবেশী দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে যে রোনালদিনহোর পাসপোর্ট জাল। সেই থেকেই থানা-পুলিশ আর আইন-আদালত করে বেড়াতে হচ্ছে ব্রাজিলের পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ককে।

মার্কা আবার ইএসপিএনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে রোনালদিনহোর মামলার শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। যদিও এই মামলায় সংশ্লিষ্ট অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত। আশা করা হচ্ছে আইনজীবীরা রোনালদিনহো ও তার ভাইয়ের জামিনের ব্যবস্থা করতে চলেছেন। হয়তো এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে কিছু শর্ত। শর্তগুলো অবশ্য একটু কঠিনই। যেমন অপরাধ স্বীকার করতে হবে, জরিমানা দিতে হবে এবং একজন জাজের কাছে হাজিরা দিতে হবে প্রতি মাসে।