ফিকার তথ্যকে বিভ্রান্তিকর বলছে বিসিবি

ক্রিকেট বিশ্বে কুড়ি ওভারের লিগগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু জনপ্রিয় লিগে কলঙ্কের দাগ পড়ছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায়। তেমনই অভিযোগ উঠেছে এবার। লিগগুলোতে পারিশ্রমিক না পাওয়া অথবা বিলম্বিত পারিশ্রমিকের ঝামেলায় পড়েছেন অন্তত এক-তৃতীয়াংশ ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) বার্ষিক প্রতিবেদনেই এমন তথ্য উঠে এসেছে। তালিকাভুক্ত সেই ৬টি লিগের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল)।

ফিকার এমন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিব্রত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি ফিকার তথ্যকে বলছে, ভুল ও বিভ্রান্তিকর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আরও জানিয়েছে, পারশ্রমিক বঞ্চিতের সংখ্যাটা খুব বড় নয়। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে অংশগ্রহণ করা তিন ক্রিকেটার ও একজন কোচেরই শুধু পারিশ্রমিক বকেয়া রেখেছে নির্দিষ্ট একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ বিপিএলে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান, আফগানিস্তানের ক্রিকেটার গুলবাদিন নাইব, পাকিস্তানের সোহেল তানভীর ও ওয়াকার ইউনিসের পুরো অর্থ পরিশোধ করেনি সিলেট সিক্সার্স। ওই বছর কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস। এ অবস্থায় এই তিন ক্রিকেটার এবং কোচ- ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

অবশেষে মঙ্গলবার বিসিবি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। জানিয়েছে, ২০১৮ সালের বিপিএলে ১৭০ দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়, কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফ কাজ করেছে। সেখান থেকে বাকিরা পারিশ্রমিক পেলেও একটি নির্দিষ্ট ফ্রাঞ্চাইজির চার ব্যক্তি পারিশ্রমিক পাননি। যেটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করছে বিসিবি।

তবে এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি। বিসিবি বিপিএলের সঙ্গে জড়িত। আমরা খুব দ্রুত পারিশ্রমিক পরিশোধ করবো এবং যে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি পারিশ্রমিক বকেয়া রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি অ্যাকশনে যাবো।’