‘১৮৫ কেজি ওজন তুলতে সময় লাগবে’

মাবিয়া আক্তার ফিরেছেন অনুশীলনে প্রায় সারা বছরই মাবিয়া আক্তার সীমান্ত অনুশীলনের মধ্যে থাকেন। ভারোত্তোলনে এর কোনও বিকল্প নেই। একটু ঢিলেমি দিলেই ফিটনেস নিচের দিকে নামতে থাকে। যদিও বৈশ্বিক করোনাভাইরাস এই ভারোত্তোলককে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক। দীর্ঘ পাঁচ মাস প্রায় অলস সময় কাটাতে হয়েছে। এই সময়ে ভারোত্তোলন দূরের কথা, অনুশীলনই করতে পারেননি। তবে আশার কথা, সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারও অনুশীলনে নেমেছেন এসএ গেমসে টানা দু’বার সোনাজয়ী মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।

২০১৬ সালে ভারতের এসএ গেমসে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণির স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৪৯ কেজি তুলে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছিলেন মাবিয়া। তিন বছর পর অবশ্য ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ৮০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৫ কেজি মিলিয়ে মোট ১৮৫ কেজি ওজন তুলে আবারও দেশকে সোনার পদক এনে দেন।

তবে দীর্ঘদিন অনুশীলনে বিরতি থাকায় নিজের আগের পারফরম্যান্স করাই এখন কঠিন হয়ে গেছে। আর এটাই স্বাভাবিক। মাবিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন,‘এখন তো মাত্র অনুশীলন শুরু করেছি। ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করছি। বেশি ভারী ওজনও তুলছি না। ফিটনেস পুরোপুরি ফিরে পেলে তখন হয়তো ভারী ওজন তোলা যাবে। তবে হ্যাঁ, আগের মতো ফিটনেস ও পারফরম্যান্স দেখাতে হলে আমার ৬ মাসের বেশি সময় লাগবে। সবশেষ ১৮৫ কেজি ওজন তুলেছিলাম। তা করতে হলে অনেক সময় লাগবে।’

দুই সপ্তাহের বেশি  হলো মাবিয়া অনুশীলনে ফিরেছেন। অনুশীলনে ফিরতে পেরে খুশি,‘গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অনুশীলন শুরু করছি। শুরুতে একটু জড়তা ছিল। এখন কেটে যাচ্ছে। অনেক দিন পর ভারোত্তোলনে ফিরে এসে অনেক ভালো লাগছে।’

সামনে অবশ্য ভারোত্তোলনের কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা নেই। তারপরও ঘরোয়া প্রতিযোাগতিার জন্য হলেও নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে চান মাবিয়া, ‘সামনে আমাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা নেই। যতদূর শুনেছি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন না আসলে আন্তর্জাতিক কোনও প্রতিযোগিতাও হবে না। তবে আমরা নিজেদের ফিট করার জন্য অনুশীলন চালিয়ে যাবো। সবচেয়ে বড় কথা অনুশীলন করার ‍সুযোগ পেয়েছি। ধাপে ধাপে নিজেকে উন্নতি করার সুযোগ হবে এখন।’

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা না হলেও ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য উন্মুখ বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ভারোত্তোলক,‘আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা না থাকলেও ঘরোয়া একটি প্রতিযোগিতা হতে পারে। শুনেছি আগামী নভেম্বরে আন্ত:সার্ভিস প্রতিযোগিতা হতে পারে, যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়। হয়তো কিছুদিনের মধ্যে নিশ্চিত হয়ে যাবে। এরইমধ্যে যতদূর সম্ভব ফিটনেস ফিরে পাওয়া যায় তা নিয়ে লড়তে হবে।’