সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা

যা আছে কাজী সালাউদ্দিনের ইশতেহারে

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে কথা বলছেন কাজী সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ৩ অক্টোবর। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৬ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে কাজী সালাউদ্দিন-কাজী নাবিল-সালাম মুর্শেদীদের নিয়ে করা সম্মিলিত পরিষদ। আগামী চার বছরে তাদের পরিকল্পনা কী, আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহারে তা তারা তুলে ধরেছেন।

রবিবার দুপুরে সম্মিলিত পরিষদ শুধু ইশতেহারই দেয়নি, তার সঙ্গে বিগত ১২ বছরে নিজেদের সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেছে। এর আগে অবশ্য এই পরিষদের সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়ও করে দেওয়া হয়।

রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা দুই পাতার নির্বাচনি অঙ্গীকারে রয়েছে ফুটবলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার নানান পরিকল্পনা। এরমধ্যে রয়েছে জাতীয় ফুটবল দল, ঘরোয়া ফুটবল, মহিলা ফুটবল, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন টেকনিক্যাল দিকগুলোর উন্নয়ন।

শুরুতে জাতীয় দল নিয়ে নিজেদের আগামী দিনের পরিকল্পনা পড়ে শোনান বর্তমান সহ-সভাপতি ও জাতীয় টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। সেখানে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি জাতীয় ‍ফুটবল দলের ফিফা র‌্যাংকিং আগামী চার বছরের মধ্যে ১৫০-এর কাছাকাছি নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি।

ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদও কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রিমিয়ার লিগ, ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগসহ পাইওনিয়ার লিগ। এসবই আগের মতো আয়োজন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুল ফুটবলসহ মেয়েদের লিগ ও অন্য বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাও থাকছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপও অনুষ্ঠিত হবে দেশব্যাপী।

আরও রয়েছে খেলোয়াড়দের নিবন্ধন কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করার ঘোষণা। নতুন প্রতিযোগিতার মধ্যে জেলা ও বিভাগের দল নিয়ে সারা দেশে শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১০ প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও মিলেছে এই ইশতেহার থেকে।

মেয়েদের ফুটবলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন বর্তমান মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। মহিলা ফুটবলের বার্ষিক সূচি প্রণয়ন করার পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলসহ জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করে গড়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। তিনি সাফ মহিলা ফুটবল ও এসএ গেমস ফুটবলের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। এর জন্য হাইপ্রোফাইল কোচিং স্টাফসহ আধুনিক প্রযুক্তির সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন কিরণ।

সহ-সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলেছেন। পাশাপাশি অন্তত চারটি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সেখানে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রিমিয়ার লিগ ভেন্যুর মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথাও বলেছেন তিনি। এর সঙ্গে রয়েছে বাফুফের দুটি টার্ফের নতুন করে সংস্কার, মিডিয়া সেন্টার নির্মাণ ও বাফুফে ভবনে আধুনিক জিম স্থাপন।

টেকনিক্যাল দিক নিয়ে আরেক সহ-সভাপতি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বাবু প্রতিটি বিভাগে আধুনিক ফুটবল সেন্টার নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম করার কথা বলেছেন তিনি। খেলোয়াড়দের বাছাই করে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে এই ইশতেহারে। এছাড়া বেরাইদে বাফুফে-ফর্টিজ ফুটবল অ্যাকাডেমির কার্যক্রম চলমান রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। আরেক সহ-সভাপতি প্রার্থী ইমরুল হাসান ফুটবলে তৃণমূলে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

সম্মিলিত পরিষদ:

সভাপতি: কাজী সালাউদ্দিন

সিনিয়র সহ-সভাপতি: আব্দুস সালাম মুর্শেদী

সহ-সভাপতি: কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান ভূঁইয়া, ইমরুল হাসান ও আমিরুল ইসলাম বাবু।

১৫ সদস্য: হারুনুর রশিদ, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, মাহফুজা আক্তার কিরণ, সত্যজিত দাশ রুপু, ইলিয়াস হোসেন, বিজন বড়ুয়া, ইকবাল হোসেন, অমিত খান শুভ্র, মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, জাকির হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ রিয়াজুল করিম, কামরুল ইসলাম হিলটন, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, আসাদুজ্জামান মিঠু ও নুরুল ইসলাম নুরু।