চার বছরে র‌্যাংকিং ১৫০-এর কাছাকাছি আনার লক্ষ্য: কাজী নাবিল

ইশতেহার পড়ে শোনাচ্ছেন কাজী নাবিল আহমেদ। ছবি-সাজ্জাদ হোসেন। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ফুটবল দলের ফলাফল খারাপ নয়। বিশেষ করে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও ১-১ গোলে ড্র করাটা ছিল বাহবা কুড়ানোর মতো। এমন দল নিয়ে সামনের দিনগুলোতে আরও আশা দেখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়ানো কাজী সালাউদ্দিন-কাজী নাবিল-সালাম মুর্শেদীদের নিয়ে করা সম্মিলিত পরিষদ। তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে জাতীয় দল নিয়ে রয়েছে বিস্তর পরিকল্পনা। যা বাস্তবায়নে বাফুফের বর্তমান সহ-সভাপতি ও জাতীয় টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ এবারও এই পরিষদে একই পদে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনি ইশতেহার থেকে আগামী চার বছরে জাতীয় দল নিয়ে নানান পরিকল্পনার কথা পড়ে শুনিয়েছেন এই কৃতী সংগঠক।

তার পঠিত বক্তব্যে জাতীয় ফুটবল দলের ফিফা র‌্যাংকিংয়ের উন্নতির কথাটিও এসেছে। বাংলাদেশ ফুটবল দলের বর্তমান ফিফা র‌্যাংকিং ১৮৭। ইশতেহার থেকে কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, আগামী চার বছরের মধ্যে এই র‌্যাংকিং ১৫০-এর কাছাকাছি আনার পরিকল্পনা তাদের। শুধু ছেলেদেরই নয়, মেয়েদের ফুটবল দলের র‌্যাংকিংও ৯০-এর কাছাকাছি নেওয়ার কথা তিনি বলেছেন।

ইশতিহার থেকে কাজী নাবিল আরও বলেছেন, ‘এটি বাস্তবায়নে জাতীয় ফুটবল দলের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের জন্য হাইপ্রোফাইল কোচিং স্টাফ নিয়োগসহ উন্নতমানের প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য। এছাড়া প্লেয়ার মনিটরিং, সফটওয়্যার হেলথ মনিটরিং, ম্যাচ অ্যানালাইসিস সফটওয়্যারসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার তো থাকছেই।’

প্রতি বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। কাজী নাবিল বলেছেন, আগামীতেও এই প্রতিযোগিতা একইভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শিরোপা জয় নিয়ে তাদের পরিকল্পনা, ‘অনেক দিন ধরে সাফ ও এসএ গেমস ফুটবলের শিরোপা নেই। আগামীতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এসএ গেমস শিরোপা পুনরুদ্ধারের জন্য সব ধরনের উদ্যোগই নেওয়া হবে।’

ইশতেহার থেকে তিনি আরও বলেছেন, ‘পুরুষ ও মহিলা জাতীয় ফুটবল দলসহ বয়সভিত্তিক দলসমূহের এলিট খেলোয়াড়দের প্রোফাইল তৈরি করার জন্য প্লেয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাদের বিশেষ মনিটরিংয়ের আওতায়ও আনা হবে।’