ভবিষ্যতের টেস্ট ক্রিকেটারও বানাতে চান র‌্যাডফোর্ড

টেস্ট ক্রিকেটার তৈরির পরিকল্পনাও আছে এইচপি কোচের। ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেন এমন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের নিয়েই চলছে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) ক্যাম্প। ইংলিশ কোচ টবি র‌্যাডফোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলছে নিবিড় এই অনুশীলন। এইচপির ২৬ ক্রিকেটারকে নিয়ে এই কোচের ভাবনা খুব পরিষ্কার। তিনি কেবল সংক্ষিপ্ত সংস্করণের জন্যই খেলোয়াড় তৈরি করতে চান না। তার নজর রয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের খেলোয়াড় তৈরির দিকেও। 

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সেসব পরিকল্পনার কথাই বলেছেন র‌্যাডফোর্ড, ‘আমি বোর্ডকে জানিয়েছি, একদল খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই, যারা টেস্টের জন্যই মানানসই। তারা টেকনিক্যালি শক্তিশালী হবে। ঘণ্টায় ৯০ মাইলের বলে টানা পাঁচ ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারবে এবং বোলিংয়ে লম্বা স্পেল করতে পারবে। তাদেরকে নিয়ে ১৪-১৫ দিনের পৃথক লাল বলের ক্যাম্প করতে হবে।’

এমন পরিকল্পনার কারণও তুলে ধরেন র‌্যাডফোর্ড। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০১৮ সালের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের উদাহরণ টেনে ‌তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করলো, সেবার আমি স্বাগতিক দলের সঙ্গে ছিলাম। দুই বছর আগের কথা। দুইটি টেস্ট তিনদিনের বেশি যায়নি। পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল এবং বাকি পেস বোলাররা বাংলাদেশের টপ অর্ডার স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে আমরা ভিন্ন রূপে দেখতে পাই। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দুটি সিরিজই বাংলাদেশ জিতেছিল।’

সে জন্য আদর্শ পেসার তৈরি করতে র‌্যাডফোর্ড দেশের বাইরেও ক্যাম্প করাতে চান, ‘আমি দেশের বাইরে যেমন ইংল্যান্ডের মতো পরিবেশে ক্যাম্প করতে চাই। আমার মনে হয় এটা টেস্ট দলের জন্য খুবই ভালো হবে। সহজ কন্ডিশনে নয়। একসময় এই খেলোয়াড়রাই বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলবে। কোনো এক সময় তারা লর্ডসে যাবে, অ্যান্ডারসন, ব্রড অথবা ওকসদের মোকাবেলা করবে। তাই ওই ধরনের সিমিং কন্ডিশন পিচে তাদের অভ্যস্ত করাতে চাই, যেখানে বল সুইং করবে, কারণ এটা খুবই কঠিন। তবে এসবে মানিয়ে নেওয়ার একটাই পথ- অনুশীলন।'