টানা চতুর্থ ম্যাচ হারলো দিল্লি। টসজয়ী মুম্বাইয়ের কাছে তারা প্রথমে ধ্বস্ত হয়েছে বোলিংয়ে। দুই পেসার যশপ্রীত বুমরা ও ট্রেন্ট বোল্টের বল খেলতে হিমশিম খেয়েছেন দিল্লি ব্যাটসম্যানরা। ৯ উইকেটে মাত্র ১১০ রান তুলতে পারে দিল্লি। পরে দিল্লির বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছে ইশান কিষাণের ব্যাট।
তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন বুমরা ও বোল্ট। বাঁহাতি কিউই পেসার বোল্ট ২১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট, আরও ভয়ঙ্কর বোলিংয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট শিকার বুমরার। রাহুল চাহারের লেগস্পিনে স্টাম্পড হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেছেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ করে বুমরার বলে এলবিডব্লিউ ঋষভ পন্ত। তবে একশো পেরিয়ে ১১১ রান করতে পেরেছে তারা রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১২) ও কাগিসো রাবাদার (১২) ব্যাটিংয়ে। রান তাড়ায় দিল্লির যন্ত্রণার নাম ওপেনার ঈশান কিষাণ। তার অপরাজিত ৭২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি ৪৮ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো। সুরিয়াকুমার যাদব ১১ বলে ১২ করে অপরাজিত ছিলেন। ১৪.২ ওভারে জয়ের তীরে পৌঁছে যাওয়া মুম্বাইয়ের একমাত্র উইকেটটি (ডি কক) নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার আনরিখ নর্কিয়া।
১৩ ম্যাচে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া দিল্লি পয়েন্ট তালিকার তিনে থাকলেও নেট রান রেটের অবস্থা বেশ খারাপ করে ফেলেছে। ২ নভেম্বর লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরের কাছে প্লে-অফে টিকে থাকারই পরীক্ষা হতে পারে দিল্লির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দিল্লি: ২০ ওভারে ১১০/৯ (আইয়ার ২৫, পন্ত ২১, অশ্বিন ১২, রাবাদা ১২, বুমরা ২/১৭, বোল্ট ২/২১) ও মুম্বাই: ১৪.২ ওভারে ১১১/১ (কিষাণ ৭২*, ডি কক ২৬, সুরিয়াকুমার ১২*, নর্কিয়া ১/২৫)।