‘বাদল রায় দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে অন্যতম প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব’

গনেশ থাপা ও বাদল রায় সতীর্থ যখন মোহামেডানে -ছবি: গনেশ থাপারবিবার প্রয়াত হয়েছেন বাদল রায়। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম তারকা, তারও আগে যিনি মোহামেডানের তারকা। সংগঠক হিসেবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন পরে। ৬০ বছর বয়সে বাদল রায়ের এমন প্রয়াণে দেশের গোটা ক্রীড়াঙ্গন শোকাহত। তবে দেশের গণ্ডি পেরিয়েও তার মৃত্যুর খবর পৌঁছে গেছে বাইরে। যেমন নেপালের সাবেক তারকা ফুটবলার গনেশ থাপা তাকে স্মরণ করেছেন গভীর ভালোবাসায়। ঢাকা মোহামেডানে একসময় বাদল রায়ের পাশে খেলে গেছেন গনেশ। সাবেক সতীর্থের অকালমৃত্যু নেপালের সাবেক স্ট্রাইকারকে নাড়া দিয়েছে ভীষণভাবে।

গনেশ একসময় অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন,  সাফেরও দায়িত্বে ছিলেন। নিজের ফেসবুক পেজে বাদল রায়ের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করে গনেশ লিখেছেন, ‘বাদল রায়ের অকালমৃত্যুতে গভীরভাবে দুঃখিত। খবরটা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছি। বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন, তিনি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের অন্যতম প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব।’

‘৮০ দশকে মোহামেডানে খেলেছেন গনেশ। স্ট্রাইকার হিসেবে খেলে খারাপ করেননি। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে বলেছেন, ‘আমি মোহামেডান ক্লাবের হয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশে খেলেছি, দারুণ কিছু স্মৃতি আছে আমার তার সঙ্গে। এই কঠিন সময়ে তার বন্ধু এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ভালো থাকবেন বাদল রায়।’

নেপালের ফুটবলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভালো একটা জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া গনেশ অবশ্য ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে আছেন। ঘুষ কেলেঙ্কারিতে তার নাম চলে আসায় ফিফার এথিকস কমিটি তাকে নিষিদ্ধ করে পাঁচ বছর আগে।