সৌম্য-লিটনের ব্যাটে চট্টগ্রামের সহজ জয়

প্রথম ম্যাচ সহজেই জিতেছে চট্টগ্রাম।বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরা হয় সৌম্য সরকার-লিটন দাসকে। বৃহস্পতিবার মিরপুরের সবুজ গালিচায় এই দুজনেই বাহারি শটের পসরা বসিয়েছিলেন। আর তাতে খুব সহজে বেক্সিমকো ঢাকাকে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করলো ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে কতটা ভারসাম্যপূর্ণ দল তারা। ঢাকার দেওয়া মাত্র ৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫৫ বল বাকি থাকতেই ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মিঠুনের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম।

৮৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেছেন সৌম্য। জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন তার সঙ্গী লিটন। এর আগে ৩৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি। বাকিটুকু সহজেই পার করে দেন সৌম্য-মুমিনুল। সৌম্য ২৯ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া ৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।

ঢাকার বোলারদের হয়ে রুবেল-আবু হায়দার, ‍মুক্তার আলী, মেহেদী রানারা কঠিন সময় পার করেছেন। একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন নাসুম আহমেদ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ঢাকা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে আজও। চট্টগ্রামের পেসার ও স্পিনারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই শফিউল, নাহিদুল, মোস্তাফিজ, মোসাদ্দেক কঠিন সময় দেন ব্যাটসম্যানদের। দলের ৫ ব্যাটসম্যানই রানের খাতা খুলতে পারেনি। একমাত্র নাঈম শেখই খেলেছেন নিজের মতো করে। ২৩ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় নাঈম নিজের ৪০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। অধিনায়ক মুশফিক প্রথম বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। নাঈমের পর আকবর আলীর ব্যাট থেকে ১৫ ও মুক্তার আলীর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। শেষ উইকেট হিসেবে রুবেল হোসেন আউট হলে ২২ বল হাতে রেখেই ৮৮ রানে অলআউট হয় ঢাকা।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার শরিফুল। ১০ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজ ১৩ রান খরচায় নেন দুটি। এছাড়া মোসাদ্দেক ৯ রানে দুটি এবং তাইজুল ৩২ রানে ‍দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া নাহিদুল ও সৌম্য একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন মোসাদ্দেক।