‘জেমি ডে মানে বাড়তি অনুপ্রেরণা’

কাতারে বাংলাদেশ ফুটবল দলনেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর থেকে করোনা পজিটিভ হয়ে হোটেলে সময় কাটছে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের। তার সহকারী স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস কাতারে জামাল ভূঁইয়াদের অনুশীলনের দায়িত্বে আছেন। ডে-কে ছাড়া ঠিকঠাক অনুশীলন চললেও কোথায় যেন কিছুটা খামতি থেকে যাচ্ছে। অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম বলেছেন, ‘জেমি ডে মানেই বাড়তি অনুপ্রেরণা।’

হোটেলে আটকে থাকা ডে মাঝের দুই দিন ভুগেছেন পেটের সমস্যায়। সোমবার আবারও করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। আগামীকাল নেগেটিভ ফল এলেই তিনি দোহাগামী বিমানে চড়বেন। সেখানে খেলোয়াড়েরা বলতে গেলে তার অপেক্ষাতেই আছেন। যদিও অনুশীলনের এক ফাঁকে আবাহনী লিমিটেডের মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘জেমি সবসময় আমাদের মানসিকভাবে চাঙা করে রাখেন। টিমের অন্য সব স্টাফও ভালো। কিন্তু জেমি মানে একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা। হেড কোচ থাকলে অবশ্যই আমাদের আরও ভালো হতো।’ তবে ডে না থাকলেও অনুশীলনে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। মামুনুলের কথায়, ‘তবে কোচ নাই, এ মুহূর্তে এখানে আমাদের কেউ সেটা তেমন একটা অনুভব করছে না। প্রতিদিন তার সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন দূর থেকে। আমাদের আশা ভালো কিছু করে যেন কোচকে খুশি করতে পারি।’

৩১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার দোহায় অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ খুশি। বাংলাদেশ দল অনুশীলনে প্রতিনিয়ত ভালো করছে। তার ভাষায়, ‘এখন পর্যন্ত প্রস্তুতি খুবই ভালো। ট্রেনিং সেশনে আমরা দিনকে দিন উন্নতি করছি। এখানে আমরা ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা ভালো, পরিবেশ ভালো। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ভালো আছি এবং প্রতিটি ট্রেনিং সেশনে উন্নতি করছি।’

আগামী ৪ ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে মামুনুল শুনিয়েছেন আশার কথা, ‘কাতার ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই কঠিন ম্যাচ। কিন্তু আমরা চাই ওদের বিপক্ষে ভালো করতে। আমি মনে করি, শুক্রবার আমরা ওদের বিপক্ষে ভালো করতে পারবো।’

সেই ‘ভালো’র রূপটা কী হতে পারে তা নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।