কাতারের আক্রমণের ত্রয়ী বাংলাদেশের রক্ষণকে তছনছ করে দিতে সক্ষম। তিনজনই বেশ অভিজ্ঞ। জাতীয় দলের হয়ে প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন। যাদের মাঝে রয়েছেন অধিনায়ক হাসান আল হেইদস। কাতারের জার্সি পড়ে ১৩৪ টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তার। ঢাকার ম্যাচে এই ফরোয়ার্ড খেলেছিলেন বাঁ দিকে। দ্বিতীয়জন আকরাম আফিফ ৬৫ ম্যাচে করেছেন ১৭ গোল। খেলে থাকেন ডান প্রান্তে। তৃতীয়জন সুদানি বংশোদ্ভুত আলমায়েজ আলী খেলে থাকেন নম্বর নাইন হিসেবে। ৬০ ম্যাচে ২৭ গোল করে দলের অন্যতম ভরসা ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তবে আজ ক্ষেত্র বিশেষে দলের স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ তাদের মধ্যে রদবদল করলেও করতে পারেন।
ঢাকার ম্যাচে অবশ্য এই তিন ফরোয়ার্ডের কেউই গোল পাননি। প্রথম লেগে ম্যাচের ২৮ মিনিটের সময় বক্সে অরক্ষিত থাকা আরেক ফরোয়ার্ড ইউসুফ আব্দুরিসাগ লক্ষ্যভেদ করেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে ৮ ম্যাচে সেই এক গোলই তার একমাত্র অর্জন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ সময়ে বক্সের জটলা থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেছিলেন মিডফিল্ডার করিম বৌদিফ। সাধারণত কাতার যখন আক্রমণে ওঠে তখন মধ্যমাঠ থেকে তাতে যোগ দেন সবাই। অন্তত ঢাকার ম্যাচে এমন প্রবণতাই লক্ষ্য করা গেছে।
তাই বাংলাদেশের ডিফেন্সে তপু, রিয়াদুল, রহমত ও ইয়াছিনদের সতর্ক থাকতে হবে একটু বেশি। আর গোলকিপার হিসেবে আশরাফুল ইসলাম রানা কিংবা আনিসুর রহমান জিকোর মাঝে যেই সুযোগ পাবেন, তাকে ভারতের গুরপ্রিত সিংয়ের মতো আজ দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে। না হলে কাতারি ঝড় রুখে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে! ম্যাচটি শুরু হবে শুক্রবার রাত ১০টায়।