জাতীয় দলের সহকারী কোচে আগ্রহ নেই সালাহউদ্দিনের

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকিব-তামিমদের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে। তার ডেপুটি হিসেবে কে কাজ করবে সেই কোচের সন্ধানে এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। তাদের পছন্দের তালিকায় আছে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম! যদিও সহকারী কোচের পদে আগ্রহই নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই কোচের।

বছর দুয়েক আগেও সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব পান সালাউদ্দিন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায় মৌখিকভাবে পাওয়া প্রাথমিক সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি তিনি। সে সময় তাকে কোচিং স্টাফে নিতে আগ্রহ দেখান বিসিবি পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। যদিও এর আগে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে সালাউদ্দিনের। জেমি সিডন্স প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগের বছর ২০০৬ সালে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হন সালাউদ্দিন, কাজ করেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত।

পুরনো সেই পদে হাথুরুসিংহের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কিনা এমন প্রশ্নে শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, বোর্ডের যারা নিয়োগকৃত আছে, তাদের থেকে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। তারা অনেক দিন ধরে বোর্ডে কাজ করছেন। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা আসলে হাতুরুসিংহের সম্পর্কে জানে। তারা হয়তো তাকে সেরা সার্ভটা করতে পারবেন।’

কুমিল্লাকে তিনবার শিরোপা জেতানো এই কোচ আরও বলেছেন, ‘আমি আসলে ডেভেলপমেন্টের ছেলেদের চিনি না, এমনকি এইচপির ছেলেদেরও চিনি না। আমার একটা জায়গায় কাজ করতে হলে সব জ্ঞান লাগবে এবং সেই কোচটা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। হাতুরুসিংহের মানসিকতা কেমন, সে কেমন কোচ, তা আমি জানি না। আমি যার সঙ্গে কাজ করব, তার ব্যাপারে জানা দরকার।’

পাশাপাশি নিজের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন। তার কথায়, ‘আমার এখন যে বয়স, নিজে থেকে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা আমারও আছে কিনা, জানি না। কারণ গত ৫-১০ বছর ধরে প্রধান কোচ হিসেবে নিজেই কাজ করছি। এখন সহকারী কোচের দায়িত্বটা পারব কিনা, আমার সেই সার্বিক ক্ষমতা আছে কিনা, সেটাও দেখতে হবে। কারণ সহকারী কোচদের কাজ অনেক বেশি।’