প্রথম ম্যাচ হারার পর অনেক বেশি বিস্মিত হয়েছি: এনামুল

২০১৯ সালের পর ওয়ানডে খেলেছেন এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচে তা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচেও ৭৬ রান করে অবদান রেখেছেন জয়ে। শুক্রবার জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফেরার পর জানালেন, স্বাগতিকদের সঙ্গে ম্যাচ জয় সহজ ছিল না।

শুক্রবার বিকালে দলের সবাই দেশে ফিরলেও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফেরেননি। একই তালিকায় আছেন কোচিং স্টাফদের মধ্যে থাকা হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড ও স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথও। শুধু ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স ও ফিল্ডিং কোচ ম্যাকডারমট এসেছেন। সেখানেই বিমানবন্দনে প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডে খেলার প্রতিক্রিয়া জানান এনামুল, ‘অনেকদিন পর ওয়ানডে দলে আসলাম। এজন্য খুব ভালো লাগছে, খুব এক্সসাইটেডও ছিলাম আসলে। কঠোর পরিশ্রম করেছি, অনেকদিন এরকম সময় পার করেছি। আসলে তিন বছর পর যেহেতু এসেছি, চেষ্টা করেছি সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য। অবশ্যই দলের জয়ের পেছনে অবদান রাখতে পারলে অনেক ভালো লাগতো।’

জিম্বাবুয়ে সফরটা ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ তো হেরেছেই। ৯ বছর পর হেরেছে ওয়ানডে সিরিজও। শেষ ম্যাচটা জেতায় হোয়াইটওয়াশের লজ্জা হয়তো পেতে হয়নি। এনামুল জানালেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতাটা আসলে সহজ ছিল না, ‘জিম্বাবুয়ের মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জেতাটা আসলে সহজ ছিল না। এটা সত্যই। ওরা ভালো ক্রিকেট খেলেছে, আমাদের অবশ্যই কিছু ভুলত্রুটি ছিল, দুটো মিলিয়ে হেরে গেছি।’

প্রথম ওয়ানডে ৫ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর অবিশ্বাস্য লেগেছিল অনেকের কাছে। খোদ এনামুলও জানালেন যে কতটা বিস্মিত হয়েছিলেন তিনি, ‘অবশ্যই প্রথম ম্যাচটা হারার পর অনেক বেশি বিস্মিত হয়েছি। জিম্বাবুয়েতে আমরা যতটুক পারফর্ম করবো বলে আশা করেছিলাম, সে অনুযায়ী পারিনি। অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য খারাপ লাগার বিষয় ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটাও যখন দেখলাম একই পথে ওরা আগাচ্ছে, আমরা একটু নার্ভাস ছিলাম ওই সময়টায়। কিন্তু আমার মনে হয়, এই একটা সিরিজে শতভাগ দিয়ে আমরা খেলতে পারিনি।’